বাংলাদেশের শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথের নরসিংহপুর ফেরিঘাটে পণ্যবাহী ট্রাকের তীব্র জট সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১০টায় ঘাটটিতে পার হওয়ার জন্য ফেরির অপেক্ষায় পাঁচ শতাধিক ট্রাক সড়কে অপেক্ষা করছিল।
বিআইডাব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথের নরসিংহপুর ফেরিঘাট। অন্যদিকে চাঁদপুর প্রান্তে সদর উপজেলার হরিণায় আরেকটি ঘাট। এ নৌপথের দুটি ঘাট ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বিভাগের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল করে। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই নরসিংহপুর ফেরিঘাটে চাপ বেড়ে যায়।
আরও জানা যায়, এই নৌপথটিতে পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ি পারাপারের জন্য সাতটি ফেরি চলাচল করে। গত সোমবার দুটি ফেরি বিকল হয়ে পড়ে। পরে তা মেরামতের জন্য ডকে পাঠানো হয়। মেরামত শেষ করে ওই দুটি ফেরি শুক্রবার সকাল থেকে নৌপথে চলাচল করছে।
খুলনা থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকচালক জালাল হোসেন বলেন, “আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। গতকাল ঘাটে এসেছি এখনো বসা রয়েছি। কবে যে যাইতে পারব বলতে পারি না। অতিরিক্ত খাওয়ার খরচ, বাথরুমের কষ্ট হচ্ছে, কী আর করব”।
ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক মো. খোরশেদ আলম বলেন, “ফেরীর সংকট; তার ভেতরে আবার কামিনি ফেরিটি নষ্ট হয়ে গেছে, তাই একটু যানজট সৃষ্টি হয়েছে। দুটি ফেরি বাড়িয়ে দিলে আর এই সমস্যা থাকবে না। আমরা বিআইডব্লিউটিসিকে বিষয়টি জানিয়েছি”।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথের নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমেন বলেন, “ঈদে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে তিনটি নৌপথে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রয়েছে। তাই এ ঘাটে ট্রাকের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া ফেরি বিকল ছিল। তাই অপেক্ষারত ট্রাকগুলো পারাপার করাতে কিছুটা সময় লাগবে”।