সাংবাদিকদের ও অধিকারকর্মীদের নীরব করার মামলা প্রতিরোধ করতে আইন প্রস্তাব করেছে ইইউ

ফাইল ছবি - বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইইউ কমিশনের সদর দফতরের বাইরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকা উড়ছে। ৫ই মে, ২০২১

সাংবাদিক এবং অধিকার সমর্থক যারা কিনা সমালোচনামূলক রিপোর্ট করে থাকে তাদের নীরব করার উদ্দেশ্যে অনেক সময়ই সরকার এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দ্বারা অত্যধিক মামলা-মোকদ্দমা করা হয়ে থাকে। তা রোধ করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাহী বুধবার আইনের প্রস্তাব করেছে। এই হয়রানিমুলক মামলা-মোকদ্দমা ক্রোয়েশিয়া থেকে পোল্যান্ড অবধি বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

২৭-জাতির ব্লকে গণতন্ত্রের অবস্থার সর্বসাম্প্রতিক পরীক্ষায়, ব্রাসেলস-ভিত্তিক ইউরোপীয় কমিশন বলেছে যে গত বছর এই ধরনের তথাকথিত এসল্যাপ বা জনগণের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে কৌশলগত মামলা - "একটি গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছিল।”

কমিশন বুধবার ব্লকের জন্য নতুন আইনি প্রতিকারের প্রস্তাবে বলেছে,"জনসাধারণের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে সুস্পষ্টভাবে ভিত্তিহীন বা অবমাননাকর আদালতের কার্যক্রম ইউরোপীয় ইউনিয়নে একটি সাম্প্রতিক কিন্তু ক্রমবর্ধমান প্রচলিত ঘটনা।”

কমিশন আরো বলেছে, এই ধরনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ মামলাগুলি, প্রায়শই মানহানির ধারাগুলির উপর ভিত্তি করে, লক্ষ্যগুলিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে, তাদের সংস্থানগুলিকে নিঃশেষ করে দেয় এবং প্রায়শই বিভিন্ন বিচারব্যবস্থায় তাদের একাধিক আইনি প্রক্রিয়ায় আবদ্ধ করে।

এটি সাধারণত আরও বেশি রাজনৈতিক ক্ষমতা বা অর্থের দাবিদারদের দ্বারা অনুসরণ করা হয়, এবং লক্ষ্যগুলির উপর একটি শীতল প্রভাব ফেলে, এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষাবিদ, এলজিবিটি এবং পরিবেশ সংরক্ষণের পক্ষে প্রচারণাকারী বা শ্রমিক সংগঠনগুলি।

তারা আরো বলেছে, মাল্টায়, দুর্নীতিবিরোধী অনুসন্ধানী সাংবাদিক ড্যাফনে কারুয়ানা গালিজিয়াকে ২০১৭ সালে তার হত্যার সময় প্রায় ৪০টি মানহানির মামলায় জড়িত ছিলেন।

মূল্যবোধ এবং স্বচ্ছতা কমিশনের উপপ্রধান, ভেরা জোরোভা বলেছেন, "একটি গণতন্ত্রে, সম্পদ এবং ক্ষমতা কাউকে সত্যের উপর সুবিধা দিতে পারে না। আমরা তাদের রক্ষা করতে সাহায্য করছি যারা ঝুঁকি নেয় এবং জনস্বার্থ ঝুঁকিতে থাকার সময়ে যারা সোচ্চার হয় ।"

কমিশন বলেছে যে বর্তমানে কোন ইইউ দেশের এসল্যাপস এর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট সুরক্ষা নেই এবং মাত্র চারটি দেশ তা বিবেচনা করছে।