চীনের রাজধানী বেইজিং-এ করোনার প্রাদুর্ভাব রোধ করার উদ্দেশে কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ আরও কঠোর করার জন্য শহরের সমস্ত স্কুল বন্ধ করে দিচ্ছে।
২ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার শহরটিতে এই সপ্তাহে ইতোমধ্যে তিন দফা গণ পরীক্ষার আদেশ দেয়া হয়েছে যার তৃতীয়টি শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার শহরের শিক্ষা ব্যুরো সমস্ত স্কুলকে শুক্রবার থেকে ক্লাস বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে এবং বলেছে যে, আবার কবে ক্লাস শুরু হবে তা নির্ধারণ করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার বেইজিং ৫০টি নতুন সংক্রমণের ঘোষণা দিয়েছে যার মধ্যে দুজনের মধ্যে সংক্রমণের কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। সংক্রমণের সর্বশেষ ঢেউয়ে এর মোট সংখ্যা ১৫০-এ গিয়ে ঠেকেছে।
মোট সংক্রমণের ৩০ শতাংশের বেশিই ছাত্র ; ছয়টি স্কুল ও দুটি কিন্ডারগার্টেনে সংক্রমণের ক্লাস্টার খুঁজে পাওয়া গেছে।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার বেইজিং-এর চাওয়াং জেলার দুটি হাউসিং কম্পাউন্ডের বাসিন্দাদের বাড়িতে অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এবং কিছু কিছু ক্লিনিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
সংক্রমণের সংখ্যা কম থাকা এবং প্রাদুর্ভাবের মাত্রা এখনো নিয়ন্ত্রণে থাকা সত্ত্বেও চীনের অনেক শহরের তুলনায় বেইজিং আরও দ্রুততর সময়ের মধ্যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
কঠোর এসব বিধিনেষেধের ফলে খাদ্য ও মৌলিক সরবরাহের ঘাটতি,অন্যান্য জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে হাসপাতালের অক্ষমতা এবং কেন্দ্রের কোয়ারেন্টাইন সাইটগুলোর বাজে অবস্থা জনসাধারণের ক্ষোভ এবং হতাশাকে বৃদ্ধি করেছে। কারো কোভিড পজিটিভ ধরা পড়লে এমনকি কেউ কোভিড পজিটিভ ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলেই তাকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলোতে পাঠাতে হয়।
বৃহস্পতিবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন দেশটির মূল ভূখণ্ড জুড়ে ১১ হাজার ২৮৫টি নতুন সংক্রমণের রিপোর্ট করেছে যাদের বেশিরভাগই উপসর্গহীন। এ নতুন সংক্রমণের বেশিরভাগই হয়েছে সাংহাইতে। সেখানে ৪৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।