দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি। বুধবার তার বিরুদ্ধে সামরিক জান্তা আনীত বেশ কয়েকটির একটিতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯। ফাইল ছবি।

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি সামরিক জান্তা কর্তৃক তার বিরুদ্ধে কয়েকটি দুর্নীতির অভিযোগের একটিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সামরিক জান্তা গত বছর সু চি-র বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে।

শুনানির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, বুধবার শুনানির সময় রায় ঘোষণার পর রাজধানী নেপিতাও-এর একজন বিচারক ৭৬ বছর বয়সী সু চি-কে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন। তার বিচার রুদ্ধদ্বার আদালতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং গণমাধ্যমের সাথে তার আইনজীবীদের কথোপকথন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সু চি-র বিরুদ্ধে তার রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির সদস্য এবং মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফিয়ো মিন থেইনের কাছ থেকে নগদ ৬ লাখ ডলার এবং ১১ কেজি স্বর্ণের বার ঘুষ নেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল।

সু চি-র বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘন, জনসাধারণের মধ্যে উত্তেজনা উস্কে দেওয়া,তার দাতব্য ফাউন্ডেশনের জন্য জমির অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। সমস্ত অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে সম্ভবত ১০০ বছরের বেশি কারাবাসের মুখোমুখি হতে হবে।

সু চি-র পার্টি লিগ ফর ডেমোক্রেসি ২০২০ সালের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে সেনাসমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির বিপক্ষে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করে। নির্বাচনে ব্যাপক নির্বাচনী জালিয়াতিকে সামরিক জান্তা বেসামরিক সরকারের পতন এবং ফলাফল বাতিল করার কারণ বলে দাবি করেছে। বেসামরিক নির্বাচন কমিশন ভেঙে দেওয়ার আগে তারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে।

অভ্যুত্থানের পর থেকে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের নেতৃত্বদানকারী সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

এ প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স ও এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।