অং সান সু চি-র দুর্নীতির বিচারের রায় স্থগিত করেছে মিয়ানমারের আদালত

অং সাং সু চি নেদারল্যান্ডসের দি হেগে শুনানির পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ত্যাগ করেন। ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯।

মিয়ানমারের একটি আদালত দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেতা অং সাং সু চি-র বিরুদ্ধে অন্যতম দুর্নীতি মামলার রায় একদিনের জন্য বিলম্বিত করেছে।

আদালত সু চি-র বিরুদ্ধে ওই মামলার রায় স্থগিত হওয়ার কোনো কারণ জানায়নি। তার বিচার রুদ্ধদ্বার আদালতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং গণমাধ্যমের সাথে তার আইনজীবীদের কথোপকথন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে ৭৬ বছর বয়সী ক্ষমতাচ্যুত এই নেতার ১৫ বছরের জেল হতে পারে।

সু চি-র বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘন, জনসাধারণের মধ্যে উত্তেজনা উস্কে দেওয়া,তার দাতব্য ফাউন্ডেশনের জন্য জমির অপব্যবহার এবং নগদ ৬ লাখ ডলার ও ১১ কেজি স্বর্ণের অবৈধ অর্থ গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

তিনি ইতোমধ্যেই ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তাকে ও তার বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুতকারী সামরিক জান্তার আনীত আরও অনেক অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

সমস্ত অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তার সম্ভাব্য ১০০ বছরের জেল হতে পারে।

সু চি-র দল লিগ ফর ডেমোক্রেসি ২০২০ সালের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে সেনাসমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির বিপক্ষে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করে। নির্বাচনে ব্যাপক নির্বাচনী জালিয়াতিকে জান্তা বেসামরিক সরকারের পতন এবং ফলাফল বাতিল করার কারণ বলে দাবি করেছে। বেসামরিক নির্বাচন কমিশন ভেঙে দেওয়ার আগে তারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে।

অভ্যুত্থানের পর থেকে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের নেতৃত্বদানকারী সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা কারাগারে বন্দি রয়েছেন।