লেবাননের উপকূলে অভিবাসন-প্রত্যাশীদের একটি নৌকা উল্টে গেলে একটি বাচ্চা মেয়ে সহ অন্তত ছয়জন নিহত এবং প্রায় ৫০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। সঙ্কটাপন্ন দেশটির উপকূলে এটিই সর্বসাম্প্রতিক মর্মান্তিক ঘটনা।
উত্তরাঞ্চলের ত্রিপোলি বন্দরনগরের কাছে শনিবার রাতে নৌকাটি উল্টে যায়। ঐ বন্দর থেকে অভিবাসনের লক্ষ্যে ক্রমশ আরও বেশি মানুষ সম্ভাব্য মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে এই সমুদ্রযাত্রা করছে।
তবে ১৫ মে তারিখে নির্ধারিত সংসদীয় নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এই মারাত্মক দুর্ঘটনা দেশটিতে প্রথম ঘটনা নয়। দেশটি তার ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মোকাবেলা করছে।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ক্রমবর্ধমান সংখ্যক মানুষের ভোগান্তির কথা মনে করিয়ে দেয়, যার মধ্যে লেবাননের নাগরিক এবং সিরিয়ার শরণার্থী রয়েছে। তারা উন্নততর ভবিষ্যতের আশায় সমুদ্র পার হতে নিজেদের জীবন বাজি রাখে।
দেশটির সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলে, “সেনাবাহিনীর নৌ সদস্যরা ৪৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এবং একটি মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে... তাদেরকে অবৈধভাবে পাচারের সময়ে একটি নৌকা ডুবে গেলে সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়"।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, পাচারের সাথে সম্পৃক্ততার সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার উপকূলবর্তী সমুদ্র থেকে সেনাবাহিনী পাঁচটি লাশ উদ্ধার করেছে বলে রাষ্ট্রীয় ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানায়। এর আগে একটি বাচ্চা মেয়ের লাশ তীরে ভেসে আসার পর জানানো হয়েছিল যে আটজন নিহত হয়েছে।
জীবিত উদ্ধার হওয়া একজন দাবি করেন যে, সেনাবাহিনীর এক নৌকা তাদেরকে তাড়া করছিল যার ফলে তাদের নৌকাটি ডুবে যায়।
বন্দরে এএফপিকে ঐ লোকটি বলেন, “টহল নৌকাটি আমাদের দুইবার ধাক্কা দেয়… আমাদের ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য।” এরপরই তাকে চুপ করতে বলে জীবিতদের আত্মীয়রা তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়।
গত নভেম্বরেও ডজন কয়েক অভিবাসন প্রত্যাশী বহনকারী একটি নৌকাকে লেবাননের সেনাবাহিনী তাড়া করলে সেটি ত্রিপোলির উপকূলে ডুবে যায়।