নিজারের সংসদ বিদেশি সেনা উপস্থিতির পক্ষে ভোট দিয়েছে

ফাইল ছবি: টিলাবেরি অঞ্চলে (পশ্চিম নাইজার) জিহাদি বিরোধী বিশেষ বাহিনীর একটি দল টহল দিচ্ছে। ৬ নভেম্বর ২০২১।

নিজারের সংসদ সদস্যরা শুক্রবার (২২ এপ্রিল) দরিদ্র সাহেল দেশটিতে জিহাদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিদেশি বাহিনী মোতায়েনের অনুমতির পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

কয়েক ঘণ্টা বিতর্কের পর পার্লামেন্টের সদস্যরা প্রস্তাবের পক্ষে ১৩১-৩১ ভোট দেন।

কিছু অধিকারকর্মী বিদেশি সেনাদের দখলদার অভিহিত এবং তারা জাতীয় সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলবে দাবি করে তাদের উপস্থিতির বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। ভোটের ফলাফল নিয়ে সংশয় ছিল। তবে নিয়ামের পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমের মিত্রদের আধিপত্য ছিল।

আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট সমর্থিত জিহাদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে, নিজারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশের সমর্থন রয়েছে। দেশটির রাজধানী এবং উত্তরে আগাদেজ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।

“নতুন অংশীদারত্বে যোগ দেওয়ার অর্থ কোনোভাবেই জাতীয় ভূখণ্ডে আমাদের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করা নয়”, বলেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ওহৌমাউদুউ মহামাদু।

নিজার “কার্যত সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল দ্বারা বেষ্টিত”, সরকার প্রধান বলেছেন।

তিনি প্রতিবেশী মালি থেকে ফরাসি জিহাদি বিরোধী বারখানে বাহিনী এবং ইউরোপীয় বিশেষ বাহিনীর তাকুবা বাহিনীর চলমান প্রত্যাহারের কথাও উল্লেখ করেন।

দুটি জিহাদি উত্থান

প্রধানমন্ত্রী বিশেষ করে ফ্রান্সের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বলেন।

এমপিদের দেওয়া সরকারি নথি অনুযায়ী এবং এএফপির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজার এবং অন্য দেশকে “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কার্যকর লড়াই, বর্তমান বা ভবিষ্যতে, দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় সহযোগিতার ভিত্তিতে” প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ফরাসি বিশেষ বাহিনী ইতোমধ্যে নিজারে কাজ করছে। দেশটি আরও বিদেশি সেনা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত বলে ঘোষণা করেছে। তবে অন্য দেশের সেনাদের সম্ভাব্য মোতায়েনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উল্লেখ করা হয়নি।

নথি অনুসারে, নিজারে , “সেখানে ইতোমধ্যেই বিদেশি সেনাদের ঘাঁটি রয়েছে, মালির যেখানে একাধিক জিহাদি দল কাজ করে তার কাছাকাছি নতুন স্থাপনাগুলো গড়ে তোলা হবে”।

শুক্রবার পার্লামেন্টে ভোটে প্রস্তাবের বিরোধিতা ছিল, তবে তা আটকানোর মতো যথেষ্ট ছিল না।

২০২০ সালের আগস্টে সামরিক অভ্যুত্থানের পরে মালির সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে ফ্রান্স সাহেলে তার জিহাদি বিরোধী বাহিনীকে পুনর্গঠন করছে।

জার্মানি নিজারের বিশেষ বাহিনীকে প্রশিক্ষণের জন্য মালির সীমান্তের কাছে একটি কেন্দ্র স্থাপন করেছে। নিয়ামেও তাদের একটি লজিস্টিক ফাঁড়ি রয়েছে। ইতালি ও কানাডাও বিশেষ বাহিনীর প্রশিক্ষণে জড়িত।

জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ নিজার দুটি জিহাদি উত্থানের সম্মুখীন হয়েছে। একটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রতিবেশী মালি থেকে আসছে, অন্যটি দক্ষিণ-পূর্বে নাইজেরিয়া থেকে।