রকেট হামলার জবাবে গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইলের যুদ্ধবিমান

ইসরাইলের আয়রন ডোম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম গাজা থেকে ইসরাইলের দিকে ছোঁড়া রকেটগুলোকে বাধা দিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ২১ এপ্রিল, ২০২২।

হামাসের কর্মকর্তারা এবং ইসরাইলের সামরিক সূত্র জানায়, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে ছোঁড়া রকেট ইসরাইলে আঘাত করার পর বৃহস্পতিবার ভোরের আগে গাজার কেন্দ্রস্থলে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল।

কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরাইলি যুদ্ধ বিমানগুলো একটি নিরাপত্তা পোস্ট এবং রকেট ইঞ্জিন তৈরির একটি ভূগর্ভস্থ সাইটের অংশে আঘাত করেছে।

এর আগে গাজা থেকে ছোঁড়া একটি রকেট দক্ষিণ ইসরাইলে আঘাত হানে, এতে একটী বাড়ির সামান্য ক্ষতি হয় তবে কেউ আহত হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কয়েকদিনের মধ্যে সংঘটিত এ ধরনের দ্বিতীয় হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।

ইসরাইল এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে সহিংসতার উত্থান বৃহত্তর সংঘাতে ফিরে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে।

মার্চ মাস থেকে পশ্চিম তীরের অভিযানে ইসরাইলি বাহিনী কমপক্ষে ২৯ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং ফিলিস্তিনিদের একাধিক হামলায় ইসরাইলে ১৪ জন নিহত হয়েছে।

এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ইসরাইলের বোমা হামলা কেবল ফিলিস্তিনিদেরকে “দখল প্রতিরোধ করতে এবং জেরুজালেম ও এর জনগণের প্রতি তাদের সমর্থন বাড়াতে” উৎসাহিত করবে।

এই বছর মুসলিমদের পবিত্র মাস রমজান ইহুদিদের পাসওভার উদযাপনের সাথে একই সময়ে হওয়ায় উত্তেজনা কিছুটা বেড়েছে। ফিলিস্তিনিরা বলে যে, পবিত্র প্রাঙ্গণে আরও ইহুদি উপাসকদের অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরাইল শতাব্দীর পুরনো একটি নীতি লঙ্ঘন করছে। ওই নীতি অনুসারে অমুসলিমরা আল-আকসায় যেতে পারে কিন্তু প্রার্থনা করতে পারে না। এদিকে, ইসরাইলি নেতারা বলেছেন, তারা জেরুজালেমে সকল ধর্মের উপাসনার স্বাধীনতা নিশ্চিত করছেন।

আল-আকসা ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান এবং এটি ইহুদিদের দুটি প্রাচীন মন্দিরের অবস্থান হিসেবেও সম্মানিত।