চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনায় তাদের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানগুলো আবার ব্যবহার করা শুরু করেছে বলে কোম্পানী রবিবার জানায়। এক মাসেরও কম সময় আগে তাদের একটি বিমান ভূপাতিত হলে ঐ দুর্ঘটনায় ১৩২ জন নিহত হয় এবং কোম্পানীটি তাদের ২২৩টি একই মডেলের বিমানের উড্ডয়ন বন্ধ করে দেয়।
এয়ারলাইন জানায় যে তারা বিমানগুলোর নিয়মতান্ত্রিক পরীক্ষা পরিচালনা করেছে ও কাঠামোগত নিরীক্ষণ করেছে। এছাড়াও তারা প্রতিটি বিমানের উড্ডয়নযোগ্যতা সম্পর্কিত তথ্য যাচাই করেছে। কোম্পানীটি এও জানায় যে, বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালুর পূর্বে প্রতিটি বিমানেরই পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে কোম্পানীটি বলে যে, ২১ মার্চের ঐ দূর্ঘটনার শিকার বিমানটির আশপাশের রেজিস্ট্রেশন নম্বর সম্বলিত বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানগুলো এখনও রক্ষণাবেক্ষণ নিরীক্ষণ ও যাচাইয়ের মধ্যে রয়েছে।
দিনের শুরুর দিকে ফ্লাইটরাডার টুয়েন্টিফোর ওয়েবসাইটের তথ্য থেকে দেখা যায় যে, চায়না ইস্টার্নের এমইউ৫৮৪৩ নম্বর ফ্লাইটটি, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় কুনমিং শহর থেকে রবিবার সকাল ৯:৫৮ মিনিটে (০১৫৮ গ্রীনিচ মান সময়) উড্ডয়ন করে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলেরই চেংডু-তে সকাল ১১:০৩ মিনিটে অবতরণ করে। ফ্লাইটটি একটি তিন বছর পুরনো বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান ব্যবহার করে পরিচালনা করা হয়।
ফ্লাইটরাডার টুয়েন্টিফোর-এর তথ্যমতে, বিমানটি পরবর্তীতে আবার কুনমিং-এ ফিরে আসে। শনিবার ঐ বিমানটি একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করেছিল।
আরেকটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ জেটবিমান, রবিবার দিনের শুরুর দিকে সাংহাইতে একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করে বলে ফ্লাইটরাডার টুয়েন্টিফোরে দেখা যায়। চায়না ইস্টার্ন সাংহাইভিত্তিক একটি এয়ারলাইন।
২১ মার্চে ফ্লাইট এমইউ৫৭৩৫ কুনমিং থেকে গুয়াংঝু যাওয়ার পথে, গুয়াংশির পর্বতমালায় ভূপাতিত হয়। দুর্ঘটনায় ১২৩ জন যাত্রী এবং বিমানের নয়জন ক্রু নিহত হন। ঘটনাটি চীনের মূল ভূখন্ডে সংঘটিত বিগত ২৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক বিমান দুর্ঘটনা।
বিমানটির দুইটি ব্ল্যাকবক্সই উদ্ধার করেছে চীন। দেশটি জানিয়েছে যে, ঘটনাটির ৩০ দিনের মধ্যে তারা জাতিসংঘের বিমান চলাচল বিষয়ক সংস্থা, আইসিএও-র কাছে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দিবে।