রবিবার মিয়ানমারে আটক বিক্ষোভকারীদের পরিবারের সদস্যদের আশা গুঁড়িয়ে যায়। সেদিন কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া প্রায় ১,৬০০ বন্দীর মধ্যে রাজনৈতিক কোন বন্দী ছিল না। বৌদ্ধ নববর্ষ উপলক্ষে ঐ বন্দীদের মুক্ত করা হয়।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ঘোষণা দিয়েছিল যে ১,৬১৯ জন কারাবন্দীকে “ক্ষমা” করে দেওয়া হয়েছে এবং নববর্ষ উপলক্ষে তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে ৪২ জন বিদেশীও রয়েছেন। গত নববর্ষে ২৩ হাজার বন্দীকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল।
ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত এক বন্দী এএফপি-কে বলেন, “রাজনৈতিক মামলা ও বিক্ষোভকারীরা মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে নেই”, এবং কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র অপরাধীদেরকেই মুক্তি দিয়েছে।
রবিবার দুপুরে কারাগারের সামনে ভিড় করা মানুষজন ধীরে ধীরে চলে যেতে থাকে। নিজেদের স্বজনের সাথে পুনর্মিলিত হওয়ার আশায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছিলেন বলে এএফপি’র সংবাদদাতা জানান।
তাদের মধ্যে একজন নারীও ছিলেন যিনি তার ১৯ বছর বয়সী ভাতিজার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানির অভিযোগে তাকে তিন বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।
আয়ে মাইন্ট নামের আরেকজন আশা করেছিলেন যে তার ১৯ বছর বয়সী কন্যাকে মুক্তি দেওয়া হবে। তার কন্যা একটি রাজনৈতিক মামলায় তিন বছরের সাজা কাটাচ্ছেন।
আয়ে মাইন্ট বলেন, “বর্তমানে, সে (তার কন্যা) এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে আছে।”
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিবিদ শন টারনেল-এর বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। তিনি সু চি’র একজন সাবেক উপদেষ্টা। সামরিক অভ্যুত্থানের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অফিসিয়াল সিক্রেটস আইন ভঙ্গের দায়ে তিনি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছেন। আইনটিতে সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছিল যে, তার কাছে “রাষ্ট্রের গোপন আর্থিক তথ্য” জানার সুযোগ ছিল এবং তিনি মিয়ানমার থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।