মালি বলেছে, বিমান হামলায় “ডজন সন্ত্রাসী” নিহত হয়েছে

(ফাইল) - বামাকো, মালিতে, একজন সৈনিক তার অস্ত্র উঁচিয়ে আছে । ২১ জানুয়ারী, ২০২১।

মালির সেনাবাহিনী শনিবার (১৬ এপ্রিল) বলেছে যে, তারা দেশের ঠিক কেন্দ্রে বিমান হামলায় ফরাসি-তিউনিসিয়ান জিহাদিসহ “এক ডজন জঙ্গিকে” হত্যা করেছে।

সশস্ত্র বাহিনী বৃহস্পতিবার “মৌরা গ্রাম থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে গাঙ্গুলের জঙ্গলে এক ডজন সন্ত্রাসীকে নিষ্ক্রিয় করতে” দুটি হামলা চালায়। সাধারণ কর্মীরা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, “এই হামলা দুটিতে জিএসআইএমের (ইসলাম ও মুসলিমদের সমর্থনকারী দল) কিছু ক্যাডারকে, সমির আল-বুরহানসহ, ফ্রাঙ্কো-তিউনিসিয়ান সন্ত্রাসীকে নিস্ক্রিয় করা সম্ভব হয়েছে”।"

সেনাবাহিনী বলেছে যে, তারা “সন্ত্রাসীদের একটি দল” সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করেছে। তারা বলেছে যে, দলটি জিএসআইএম যোদ্ধাদের “মনোবল বাড়াতে” এসেছিল এবং “মৌরাতে গুরুতর আঘাতের” পরে তাদের সহায়তা করতে এসেছিল।

মালির সামরিকশাসিত সরকার বলেছে যে, তারা মার্চের শেষে মৌরাতে ২০৩ জিহাদিকে “হত্যা” করেছে। তবে গণমাধ্যম এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) কাছে দেওয়া সাক্ষাত্কারে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন যে, সেনারা আসলে বিদেশি যোদ্ধাদের সহায়তায় অনেক বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে।

মালির কর্তৃপক্ষ বা এইচআরডব্লিউ-এর ভাষ্যের সমর্থনে মৌরা থেকে কোনো ছবি বা ভিডিও পাওয়া যায়নি।

মালিতে জাতিসংঘের মিশন কয়েক দিন ধরে ওই এলাকায় একটি তদন্তকারী দল পাঠানোর অনুমতি চেয়ে সফল হয়নি।

২০২০ সালের অগাস্ট থেকে সামরিক জান্তা শাসিত মালি ২০১২ সাল থেকে রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে।

দরিদ্র দেশটির বিস্তীর্ণ উত্তরাঞ্চল থেকে জিহাদিদের বিস্তার প্রতিবেশী বুরকিনা ফাসো ও নাইজারে ছড়িয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় মিলিশিয়া ও অপরাধী চক্রের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে সংঘাত আরও জটিল আকার ধারণ করেছে।

সংঘর্ষে হাজার হাজার সেনা ও বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে এবং কয়েক হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।