বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচ

বাংলাদেশে পুতুল নাচের ঐতিহ্য অনেক প্রাচীন। প্রাচীন বৃহত্তর বাংলার বিহার, ওড়িষ্যা, আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুরের নদীতীরবর্তী জেলাগুলোতে পুতুল নাচের প্রচলন ছিলো। আর্যরা যখন বঙ্গদেশে এলো সেসময় অবিভক্ত বাংলার পূর্ব অংশকে গৌড় বলা হতো আর দক্ষিণ বঙ্গকে বলা হতো সমতট। দক্ষিণবঙ্গের বিস্তার বাংলাদেশের বাকেরগঞ্জ থেকে শুরু করে হুগলি নদীর পূর্বতট সুন্দরবন পর্যন্ত। এই ভৌগলিক সীমানার মধ্যে বাংলার পুতুল নাট্যপালার চর্চা ছিলো। এটাই ছিলো সনাতন পুতুল শিল্পীদের আদি ভূখন্ড। এসব অঞ্চলে পুতুল তৈরির পর্যাপ্ত উপকরণ, উপযুক্ত কারিগরি জ্ঞান, নদী নালার পথে যাতায়াত সহজলভ্য হওয়ায় পুতুল শিল্পচর্চা গড়ে উঠেছিলো বলে ধারণা করা হয়।

একসময় বর্ষাকাল ছাড়া বছরের বাকি মাসগুলোতে বাংলাদেশের গ্রামেগঞ্জে পুতুল নাচের দল পুতুল নাচ পরিবেশন করে বেড়াতো। সেসময় গ্রামীণ জনজীবনে পুতুল নাচই সাধারণ মানুষ ও শিশু-কিশোরের বিনোদনের মাধ্যম ছিলো। বাংলাদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বরিশাল, ফরিদপুর, খুলনা, কুষ্টিয়া, যশোর ও রংপুরে পুতুল নাচের প্রাচীন ধারার শিল্পীদের অস্তিত্ব এখনো আছে। এরমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকেই পুতুল নাচের প্রাণকেন্দ্র ধরা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিল্পীরা এখনো পুতুল নাচের মূল ধারাকে টিকিয়ে রেখেছেন। এ বছরের শুরুতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে জেলা প্রশাসন আয়োজন করেছিলো বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা। সেখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুতুল নাচ শিল্পীরা পুতুল নাচের মাধ্যমে তুলে ধরেন কোভিড—১৯ (করোনা ভাইরাস) বিষয়ক সচেতনতা বার্তা, গাছ না কাটার অনুরোধ। গল্পের মাধ্যমে বলা হয় করোনা ভাইরাসের টিকা নেয়ার কথা, মাস্ক পরা ও পরিচ্ছন্ন থাকার কথা।



পুতুল নাচের সেকাল ও একাল

লোকসংস্কৃতি গবেষক এবং নাট্যকার সাইমন জাকারিয়া পুতুল নাচের ইতিহাস ও সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে পুতুল নাচের চর্চা নিয়ে কথা বললেন ভয়েস অফ আমেরিকার সঙ্গে। তিনি বলেন, “পুতুল নাচের যে বিশাল একটা ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে সে ব্যাপারে আমরা ভীষণ উদাসীন। বাংলা সাহিত্যের ছাত্র হিসেবে জেনেছি, গবেষকদের মতে একসময় শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন পুতুল নাচের সাথে পরিবেশন হতো। শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনের যে কাহিনী তা মানুষের কাছে পৌঁছানো জন্য পুতুল নাচের মাধ্যমে উপস্থাপন করে হতো। প্রাচীন ভারতবর্ষে চৈতন্য মহাপ্রভুর যুগেও পুতুল নাচ ছিলো বলে জানা যায়। চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবনীতে আছে, “কাষ্ঠের পুতুলি যেনো কুহকে নাচায়।” তেমনি মধ্যযুগের সাহিত্য নিদর্শনে পুতুল নাচ সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। জানা যায়, পুতুল নাচ পরিবেশিত হতো রামায়ণ, মহাভারতের কাহিনীর সঙ্গে এবং মধ্যযুগের প্রণয় পাঁচালিতেও পুতুল নাচের রেফারেন্স পাওয়া যায়। এই ধারাবাহিকতায় কিন্তু বাংলাদেশে পুতুল নাচের চর্চা শুরু হয়। ইতিহাসগুলো না জানার কারণে আমরা এই ঐতিহ্যকে লালন করতে পারছিনা, এর যত্ন নিতে পারছি না।

প্রায় ত্রিশ বছর ধরে বাংলাদেশের পরিবেশনা শিল্প নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পুতুল নাচ দেখেছি। ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুষ্টিয়া, জয়পুরহাট, উত্তরবঙ্গের বিভন্ন অঞ্চল, সিলেটের বেশ কিছু অঞ্চলে পুতুল নাচের ব্যাপক চর্চা ছিলো। এখনো কিছু কিছু জায়গায় চর্চাটা রয়েছে, তবে সেটা আগের মতো নয়। আশির দশকে রাশিয়াতে আন্তর্জাতিক পুতুল নাচের আসর হয়। সেখানে শিল্পী মুস্তফা মনোয়ারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মূলধারার একজন পুতুল নাচের শিল্পী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘রয়েল বীণা পুতুল নাচ’এর ধন মিয়া রাশিয়াতে গিয়েছিলেন। তিনি সেখানে বাংলাদেশের পুতুল নাচ প্রদর্শন করেন। সারা পৃথিবীতে সেটি খুব প্রশংসিত হয়েছিলো। বাংলাদেশের কয়েকটি জায়গায় ধন মিয়ার পুতুল নাচের পরিবেশনা দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো। তিনি অনেক উৎকর্ষ দিয়ে পুতুল নাচকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপস্থাপনযোগ্য করে তুলেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে এক ধরণের অবহেলা থেকেই পুতুল নাচের এই ক্ষয়িষ্ণু জায়গা তৈরি হয়েছে। পুতুল নাচ পরিবেশনার মূল ক্ষেত্র হলো মেলা। বাংলাদেশে আগে বছরে কয়েক সহস্র মেলা হতো। বিভিন্ন সাধক পুরুষদের তিরোধান ও জন্মতিথিতে মেলা হতো, পূন্যস্নানের মেলা হতো। পহেলা বৈশাখে সারা বাংলাদেশে মেলা হতো। এছাড়া ঈদে, পুজোয়, পৌষ পার্বণে, শীতকালে গ্রামে গ্রামে বার্ষিক মেলা হতো। এই মেলাগুলো একদম প্রান্তিক পর্যায়ে হতো। পনেরো দিন থেকে শুরু করে এক মাস, দেড় মাসব্যাপী, কখনো কখনো তিন মাসব্যাপীও মেলাগুলো চলতো। এই মেলাগুলোকে আশ্রয় করেই পুতুল নাচ চলতো। একবার জয়পুরহাটে দেখেছি, একই প্যান্ডেলের ভেতরে অনেকগুলো পুতুল নাচের দল একসাথে পরিবেশন করেছে। বিগত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে এবং এই শতাব্দীর শুরুতে সিরিজ বোমা হামলা সহ বিভিন্ন কারণে প্রশাসন থেকে মেলা ও জনসমাগমে অনুষ্ঠান করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়। এসব কারণে অনেক জায়গায় মেলা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পুতুল নাচ পরিবেশনার সুযোগও কমে যায়। এভাবে পুতুল নাচের ও সার্কাসের অনেক দল ভেঙ্গে যায়। তারা ভিন্ন পেশায় চলে যায়। কারণ আগে তারা শুধু পুতুল নাচ পরিবেশন করেই জীবিকা নির্বাহ করতো।”

পুতুল নাচকে বর্তমান আধুনিক ধারার সাথে উপস্থাপনের সুযোগ রয়েছে কি না এ প্রশ্নের উত্তরে গবেষক সাইমন জাকারিয়া জানালেন,

“আসলে একটি শিল্পধারার চর্চার ক্ষেত্রে যদি বহুমাত্রিকতা না থাকে তাহলে তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে পুতুল নাচ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। এর আধুনিকায়নের প্রথম উদ্যোগ নেন শিল্পী মুস্তফা মনোয়ার। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে দুটি পাপেট নিয়ে শিশুদের ছবি আঁকার অনুষ্ঠান করেছিলেন। তাঁর উদ্যোগেই বাংলাদেশে এটা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়। এরপর বিশেষ করে টেলিভিশন কেন্দ্রিক বা বিভিন্ন উৎসব আয়োজনে পাপেট শো জনপ্রিয় হতে লাগলো। আমাদের দেশীয় লোক পুতুল নাচগুলো সবসময়ই শিক্ষণীয় বিষয়কে পরিবেশনার মাধ্যমে তুলে ধরতো, সেটাকে যদি আধুনিক ধারার সাথে মিলিয়ে নতুন শিক্ষণীয় গল্প পরিবেশন করা যায় তাহলে পুতুল নাচের চর্চা আরো অগ্রসর হতে পারবে। ডিজিটাল টেকনোলজির যুগে পুতুল নাচের ধরণ কেমন হওয়া উচিত সেটা নিয়েও আমাদের চিন্তা ভাবনা করা দরকার।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে কয় শ্রেণীর পুতুল নাট্য বা পরিবেশনা হয় তার মধ্যে একটি হলো সুতা পুতুল, যেটা আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচের অংশ। আরো আছে হ্যান্ড পাপেট বা হাত পুতুল, রড পাপেট বা শিক পুতুল ও শ্যাডো পাপেট বা ছায়া পুতুল।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ২০১৩ সাল থেকে ‘বিশ্ব পুতুল নাট্য দিবস’ উদযাপন করছে। এ উপলক্ষ্যে প্রতি বছর শিল্পকলা একাডেমিতে ঐতিহ্যবাহী দলগুলোকে নিয়ে পুতুল নাট্য উৎসব হয়, তাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুতুল নাচের দলগুলো যোগ দেয়। নতুন নতুন গল্প, পুতুল নাট্য, নতুন পরিবেশনা করার সুযোগ পায়। এটা শিল্পকলা একাডেমির একটি বড় উদ্যোগ। এর ফলে বাংলাদেশে অনেক পুতুল নাচের দল নতুনভাবে গঠিত হয়েছে এবং তারা খুব সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এ ধরণের পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশে পুতুল নাচের ঐতিহ্যগত ধারা রক্ষিত হবে।”



বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগ প্রসঙ্গে

পুতুল নাচ নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে কথা বলি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের উপপরিচালক আলি আহমেদ মুকুলের সঙ্গে। তিনি ভয়েস অফ আমেরিকাকে জানান,

২০১৩ সাল থেকে ২১ মার্চ বিশ্ব পুতুলনাট্য দিবস উদযাপন এবং প্রতি বছর একজন শিল্পীকে সম্মাননা প্রদান করছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। ঐতিহ্যবাহী দলগুলোকে নিয়ে প্রতি বছর তিন থেকে পাঁচদিন পুতুলনাট্য উৎসবের আয়োজন করছে। শিল্পকলা একাডেমি ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাট্য শিল্পী ও নবীন নাট্যকর্মীদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করছে। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুতুলনাট্য উৎসবে বাংলাদেশ থেকে দল পাঠানো হয়েছে। ২০১৩ সালে ইন্দোনেশিয়ার জার্কাতায় শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের গল্প’ শীর্ষক পুতুলনাচ ‘বিশ্ব পুতুলনাট্য উৎসব’- এ অংশগ্রহণ করে ‘বেস্ট ট্রাডিশনাল মিউজিক্যাল পাপেট শো এওয়ার্ড’ অর্জন করে। ২০১৮ সালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে 'পুতুলনাট্যশিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০১৮' প্রণীত হয়েছে।

আলি আহমেদ মুকুল বললেন, “কোভিড পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সাল থেকে আমাদের পুতুলনাট্য উৎসব আয়োজন বন্ধ ছিলো। এ বছর আমরা গোপালগঞ্জে ছয় দিনব্যাপি পুতুলনাট্য উৎসব করি। এ উৎসবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাতটি দল অংশ নেয়। ঢাকায় সাতটি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় মোট পঁচিশটি পুতুল নাচের দল বর্তমানে সক্রিয় আছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুতুল নাচ শিল্পের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ বছর প্রতিটি দলকে আমরা আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছি। শিল্পের আধুনিকায়নের জন্য প্রতিটি দলের কর্মীদের নিয়ে কর্মশালার ব্যবস্থাও করেছি। কর্মশালায় বর্তমান সময়ে বা ডিজিটাইজেশনের যুগে এই শিল্প মাধ্যমকে কোন আঙ্গিকে টিকে থাকবার লড়াই করতে হবে সে ব্যাপারে আমরা তাদের ধারণা দিয়েছি। পুতুল নাচ শিল্পের প্রাণ হলো এর স্টেজ শো, সে জায়গাতেই একে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে।”



পুতুলনাচ শিল্পী ছামছুর খাঁ-এর কথা

সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার লাংগলঝাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছামছুর খাঁ। বয়স ৫৫ বছর । ‘নিউ রংমহল পুতুল নাচ’ দলের মালিক তিনি। জানালেন জ্ঞান বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই এই শিল্পের সাথে তিনি জড়িত। তার এই ‘নিউ রংমহল পুতুল নাচ’ দলটিও অনেক পুরনো। প্রতিষ্ঠার ঠিক কত বছর হয়েছে তা বলতে পারলেন না। বললেন, “পুতুল নাচ শিল্পীদের অবস্থা এখন ভীষণ করুণ। করোনার আগে গ্রামে-গঞ্জে কিছু মেলা হতো। মেলায় শো করে আমরা ডালভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারতাম।”

সারা বাংলাদেশেই দল নিয়ে পুতুল নাচ পরিবেশন করেছেন ছামছুর খাঁ। বৈশাখী মেলা, অন্যান্য মেলা ছাড়াও বিভিন্ন সরকারী দিবসগুলোতে জেলা প্রশাসকরা যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন সেগুলোতেও পুতুল নাচের পরিবেশনা হয়। একটা শো করবার জন্য দলে পনেরো জন লোক লাগে ছামছুর খাঁর। মেলাতে এখন আর লোকপালা করেন না। নাচ, গান, কৌতুক, পুতুল নাচ এগুলোই দেখানো হয়। বড় কোন উৎসব বা সরকারী কোনো উৎসবে যোগ দিলেই সাধারণত নাট্যপালা পরিবেশন করেন। পুতুল নাচের নাট্যপালার মধ্যে পরিবেশন করেন সাত ভাই চম্পা, কাজলরেখা, বনবাসী রূপবান, চাঁদকুমারী ও চাষীর ছেলে, রাজা হরিশচন্দ্র এরকম সাতটা থেকে দশটা গল্প।

পুতুল নাচের দলগুলোর সরকারী লাইসেন্স নিতে হয়। ছামছুর খাঁ আক্ষেপ করে বললেন, “বিভিন্ন মেলায় কিছু লাইসেন্সবিহীন দল এসে পুতুল নাচের প্যান্ডেল টাঙ্গিয়ে অশ্লীল নাচ-গান পরিবেশন করে। আর দোষ হয় আমাদের, যারা আমরা পুতুল নাচ দেখাই। অনেক সময় নাচ বন্ধ রেখে এ ধরণের অশ্লীল নৃত্য চালানো হয়। তাই গ্রামে গঞ্জে শো করতে গেলে আমরা অনেক সময় বাধার মুখে পড়ি। স্থানীয় মুরুব্বীরা শো করতে বাধা দেন। কারণ সাধারণ মানুষ তো আর বোঝে না যে পুতুল নাচের শিল্পীরা এসব পরিবেশন করে না। এসব অশ্লীলতা দূর করা গেলে পুতুল নাচের সুদিন ফিরে আসতো। গ্রামের মা-বোনেরাও পুতুল নাচ দেখতে আসতেন। এর জন্য শুধুমাত্র যেসব দলের লাইসেন্স আছে সেসব দল ছাড়া আর কোনো দল যেনো মেলায় পারফর্ম করতে না পারে সেদিকে প্রশাসনের দৃষ্টি দেয়া দরকার। তাহলে আমরাও দুটো করে খেতে পারতাম।”


(তথ্যসূত্র: কালের কন্ঠ, ৩ জানুয়ারি ২০২২; পুতুল নাচে সচেতনতার বার্তা, শিহাব শাহরিয়ার, ১৯৯৭, বাংলাদেশের পুতুল নাচ; বাংলা একাডেমি)