ওডেব্রেখট দুর্নীতি কেলেঙ্কারি—ইকুয়েডর ও পেরুর নেতারা মুক্তি পেলেন

FILE - The corporate logo of the Odebrecht SA construction conglomerate is seen at its headquarters in Sao Paulo, Brazil, July 29, 2019.

ব্রাজিলিয়ান কোম্পানি ওডেব্রেখটের সঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে থাকা ইকুয়েডরের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্জ গ্লাস রবিবার (১০ এপ্রিল) প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার সমর্থকেরা।

প্রতিবেশী পেরুতে ৩৬ মাস গৃহবন্দী থাকার পরে একটি আদালত ৮৩ বছর বয়সী পেরুর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পাবলো কুকজিনস্কিকেও শর্তসাপেক্ষ মুক্তি দিয়েছে৷

নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি থেকে মিলিয়ন ডলার ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ছয় বছরের সাজা ভোগ করার মধ্যেই গত বছরের জানুয়ারিতে সরকারি তহবিল অপব্যবহারের জন্য গ্লাসকে আলাদাভাবে আট বছরের মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছিল।

তিনি ২০১৭ সাল থেকে ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটোর দক্ষিণে লাতাকুঙ্গায় বন্দী ছিলেন।

৫২ বছর বয়সী গ্লাস ২০১৮ সালে তার পদ থেকে অপসারিত হওয়ার আগ পর্যন্ত দুজন প্রেসিডেন্টের অধীনে কাজ করেন।

“আজ, অবশেষে, আমাদের প্রিয় কমরেড—জর্জগ্লাস মুক্ত”, কোরেয়ার রাজনৈতিক আন্দোলন দ্য সিটিজেনস রেভল্যুশন টুইটারে বলেছে। তারা আরও যোগ করেছে যে, গ্লাস “সবচেয়ে হিংস্র নিপীড়নের শিকার”।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিওতে গ্লাসকে কয়েক ডজন সমর্থকের উষ্ণ অভ্যর্থনা নিয়ে লাতাকুঙ্গা কারাগার থেকে বের হতে দেখা গেছে।

একজন বিচারক শনিবার দেশ ত্যাগ না করা এবং মাসে একবার কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট করার শর্তে গ্লাসের মুক্তি মঞ্জুর করেন।

তার আইনজীবী এডিসন লোয়াইজা বলেছিলেন যে, গ্লাসের স্বাস্থ্য খারাপ ছিল এবং লাতাকুঙ্গাতে বেশ ঝুঁকির মধ্যে ছিলেন। এই কারাগারের ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দাঙ্গায় ৩৫০ বন্দী নিহত হয়েছে।

দুর্নীতির দায়ে কোরেয়ার আট বছরের কারাদণ্ড হলেও তিনি বেলজিয়ামে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন।

ইকুয়েডরের কর্তৃপক্ষ গ্লাসের প্যারোলের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেছে।

লিমায় পেরুর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কুকজিনস্কি অর্থ-পাচারের অভিযোগে বিচারের অপেক্ষায় ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে গৃহবন্দী ছিলেন।