জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিন ল্যামব্রেখট শনিবার (৯ এপ্রিল) আফ্রিকার দেশ মালি সফরকালে মৌরাতে সংঘটিত "নৃশংসতার" বিষয়ে কথা বলার সময় জার্মান সশস্ত্র বাহিনীর অঙ্গীকার বজায় রাখার বিষয়ে তার সন্দেহ পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
মালির সামরিকশাসিত সরকার বলেছে যে, তারা মৌরাতে ২০৩ জন জিহাদিকে “হত্যা” করেছে। তবে গণমাধ্যম ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচারডব্লিউ) কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন যে, সেনারা বহু বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে।
উত্তর গাওতে জার্মান সেনাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ল্যামব্রেখট প্রশ্ন করেন, “আমরা কি এই শাসনব্যবস্থাকে সমর্থন করতে চাই?” তার মন্ত্রক জানিয়েছে।
“আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, মালির সেনারা অত্যন্ত দক্ষ জার্মান সেনাদের কাছে প্রশিক্ষণ নেয়, তারপর উদাহরণস্বরূপ রাশিয়ান বাহিনীর সঙ্গে, এমনকি ভাড়াটে সেনাদের সঙ্গে নিয়ে মিশনে যায়”, মন্ত্রী যোগ করেন।
তদন্তের আহ্বান
শুক্রবার ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-ইভস লা ড্রিয়ান মালির মৌরাতে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
“বামাকোর [রাজধানী] কর্তৃপক্ষ বেসামরিক হতাহত ছাড়া ২০০ সন্ত্রাসী নিহত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে, আমার বুঝতে কষ্ট হচ্ছে। এই ব্যাখ্যাগুলো মেনে নেওয়া আমার জন্যে অত্যন্ত কঠিন”, তিনি বলেন।
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের তদন্ত হওয়া দরকার এবং আমরা এটির দাবি করছি।
বামাকো মালিতে রাশিয়ার সংস্থা ওয়াগনারের ভাড়াটেদের উপস্থিতি অস্বীকার করেছে। ১৯৬০–এর দশক থেকে মস্কোর সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা চুক্তির অধীনে শুধুমাত্র রাশিয়ান প্রশিক্ষকদের উপস্থিতির বিষয়টি স্বীকার করে তারা।
একটি প্রতিবেদনে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে যে, মালির সেনা ও বিদেশি যোদ্ধারা মৌরাতে ২৭ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে ৩০০ বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে।
বিদেশি সেনা
এইচআরডব্লিউর মতে মালির বাহিনী শ্বেতাঙ্গ বিদেশি সেনাদের সঙ্গে কাজ করছিল। তারা রাশিয়ান বলে ধারণা কর হচ্ছে। কারণ প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী তারা অ-ফরাসিভাষী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে মালিতে সামরিক প্রশিক্ষক পাঠানোর কথা জানিয়েছে।
যাহোক, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও অন্যরা বলে যে, প্রশিক্ষকেরা রাশিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ওয়াগনারের সদস্য।