শনিবারে ২৩,৬০০ লোক নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার পর সাংহাইয়ের ভাইস মেয়র শহরের কোভিড মোকাবেলা ব্যবস্থায় ত্রুটি রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্র অপরিহার্য নন এমন কর্মী এবং তাদের পরিবারকে শহরে তাদের কনস্যুলেট থেকে চলে যেতে অনুমতি দিয়েছে।
ডেপুটি মেয়র জং মিং কঠোর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে জনসাধারণের সমালোচনা সত্ত্বেও জনসাধারণের সমর্থন এবং ফ্রন্টলাইন কর্মীদের কাজের প্রশংসা করেছেন তবে বলেছেন যে ভাইরাস মোকাবেলা ব্যবস্থা আরও উন্নত হওয়া প্রয়োজন।
জং প্রাত্যহিক সংবাদ ব্রিফিং’এ বলেন, "সবাই যে সমস্যাগুলোর কথা বলছে এবং উত্থাপন করেছে সে সম্পর্কে আমরা একইভাবে অনুভব করি।আমাদের অনেক পদক্ষেপই যথেষ্ট ছিল না। এখনও সবার প্রত্যাশা ও বাস্তবতার মধ্যে বড় ব্যবধান রয়েছে। উন্নত ব্যবস্থার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব।"
পর্যায়ক্রমে লকডাউন আরোপ করে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করার সাংহাইয়ের প্রাথমিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর বেইজিং হস্তক্ষেপ করে। দেশটির চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর যাতে মাত্রাতিরিক্ত চাপ না পড়ে তার জন্য জিরো-টলারেন্স নীতিতে লেগে থাকার জন্য চাপ দেয় বেইজিং।
শনিবার ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ অধ্যূষিত দক্ষিণের বড় শহর গুয়াংজু জানিয়েছে যে শুক্রবার নতুন করে মানুষ আক্রান্ত হওয়ার কারণে তারা ১১টি জেলায় পরীক্ষা শুরু করবে।
শনিবার বেইজি ‘এ সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোলের ডেপুটি ডিরেক্টর প্যাং জিংহুও সাংবাদিকদের জানান, গত দুই সপ্তাহে আটজন কোভিড রোগী শনাক্ত হওয়ার পর বেইজিংয়ের পৌর সরকার উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো লকডাউনের আওতায় রেখেছে।
সাংহাইয়ে ২ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ লকডাউনের মধ্যে রয়েছে। বাসিন্দারা কুরিয়ারের অভাবে খাবারের সংকট এবং লকডাউন কবে তুলে নেয়া হতে পারে সে সম্পর্কে অনিশ্চয়তার অভিযোগ অব্যাহত রেখেছে।
সরকার বলছে যে তারা শনিবার আরও পরীক্ষা করবে এবং বিধিনিষেধ কিছুটা সহজ করবে। হাউজিং কম্পাউন্ডের কিছু বাসিন্দা যাদের মধ্যে কেউ সাম্প্রতিক সময়ে আক্রান্ত হননি জানিয়েছেন তাদের এলাকার কমিটিগুলি এলাকার ভেতরে হাঁটার অনুমতি দিয়েছে।