জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে যে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর আরও নিষ্ঠুরতা ও তীব্রতর লড়াইয়ের মুখে, নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়া লক্ষ লক্ষ ইউক্রেনীয়র জন্য সংস্থাটি তাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমটি আরও জোরদার করছে।
ইউক্রেনে ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখে আরম্ভ হওয়া রাশিয়ার আক্রমণটি, বিশ্বের দ্রুততম গতিতে ক্রমবর্ধমান মানবিক সঙ্কট ও বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনাটির সূচনা করে। ইউএনএইচসিআর বলছে যে, ইউক্রেনের শহরগুলোতে বোমবর্ষণ এবং সেখানকার বেসামরিক মানুষজন ও অবকাঠামোগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার ফলে, ইউক্রেনের ৪২ লক্ষেরও বেশি মানুষ শরণার্থী হিসেবে দেশটি থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে যায়। এছাড়াও, দেশটির অভ্যন্তরে আরও ৭১ লক্ষ মানুষ স্থানচ্যুত হয়েছেন।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে যে, স্থানচ্যুত মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে তাল মেলাতে ইউক্রেনের ভেতরে এবং বাইরে, উভয় জায়গাতেই তারা তাদের ত্রাণ সরবরাহ বৃদ্ধি করেছে। সংস্থাটির মুখপাত্র ম্যাথিউ সল্টমার্শ বলেন যে, অভ্যন্তরীণভাবে স্থানচ্যুত মানুষদের আরও বেশি সংখ্যায় গ্রহণ করার জন্য অভ্যর্থনা ও সংগ্রহ কেন্দ্রগুলো আরও সম্প্রসারিত করা হচ্ছে।
তবে, জীবনরক্ষাকারী ত্রাণ বিতরণ বৃদ্ধি করা হলেও, তিনি উল্লেখ করেন যে, যেসব এলাকায় লড়াই চলছে সেসব এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ এখনও একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই রয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও, ত্রাণকর্মীরা মারিউপোল ও খারসন এর মত অবরুদ্ধ এলাকাগুলোতে ত্রাণ সরবরাহের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলেও জানান তিনি।
সল্টমার্শ জানান যে, ইউক্রেনের নতুন আরও ভয়ানক বাস্তবতাটি, শরণার্থীদের চাহিদার প্রতি সংস্থাটির প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াটিকে ছাপিয়ে গিয়েছে। তিনি জানান যে, সঙ্কটটির মোকাবেলায় সংস্থাটির ১লা মার্চ করা ৫৫ কোটি ৬ লক্ষ ডলারের আবেদনটিকে এখন অপর্যাপ্ত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই মাসের শেষ দিকে নতুন ও আরও পূর্নাঙ্গ একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে।