তুরস্কে অধিকার গোষ্ঠীগুলি মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছে

মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সমাবেশের সময় একজন গণতন্ত্রপন্থী প্রতিবাদকারীকে দাঙ্গা পুলিশ আটক করেছে। ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

জাতিসংঘের অর্থপূর্ণ পদক্ষেপের অভাব অনুভূত হবার কারণে হতাশ হয়ে একটি ব্রিটিশ অধিকার গোষ্ঠী ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে ব্যাপক নির্যাতনের অভিযোগে মিয়ানমারের জান্তাকে আদালতে নিচ্ছে ।

মিয়ানমারের কাছ থেকে এই জবাবদিহিতার জন্য তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসে ২৯শে মার্চ দ্য মিয়ানমার আকাউন্টেবালিটি প্রোজেক্ট এই ফৌজদারি মামলা দায়ের করে , আশা করা হচ্ছে যে সর্বজনীন এখতিয়ারের আইনী নীতির উপর জান্তার নেতাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা যাবে।

সর্বজনীন বিচারব্যবস্থা মনে করে যে কিছু অপরাধ এতটাই জঘন্য যে সেগুলি যে কোন একটি জাতির সীমা ছাড়িয়ে যায় এবং যে কোনও জায়গায় সেগুলির বিচার করা যেতে পারে। আন্তর্জাতিক চুক্তিতে ছাড় সত্ত্বেও রয়েছে নির্যাতনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ-স্পন্সরকৃত কনভেনশন। তুরস্ক এই স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে অন্যতম।

এমএপি পরিচালক ক্রিস গানেস ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, "যেখানে অন্য কোনো অর্থবহ আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেই। একটি সমঝোতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষের কাজ করার বিশেষ বাধ্যবাধকতা রয়েছে," ।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ নিশ্চিতভাবে কিছু করবে না। সাধারণ পরিষদে গৃহীত প্রস্তাবগুলো বাধ্যতামূলক নয়।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে জান্তার রক্তক্ষয়ী দমন-পীড়নের নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব জুনে সাধারণ পরিষদের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছিল। তবে জান্তার প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী চীন এবং রাশিয়াকে ব্যাপকভাবে দেখা যায় যে তারা নিরাপত্তা পরিষদকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে এবং মিয়ানমারের নেতাদের দ্য হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানোতে বাধা দিচ্ছে।

গানেস বলেন, "এই মামলাটি একটি আইনি প্রক্রিয়া প্রদান করে যেখানে জবাবদিহিতা থাকতে পারে" ।

গত বছরের অভ্যুত্থানের আগে জাতিগোষ্ঠীগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের প্রতি সেনাবাহিনীর আচরণে গণহত্যার অভিযোগ এনে গাম্বিয়ার একটি মামলায় ইতোমধ্যেই মিয়ানমার দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে বিচারাধীন। আর্জেন্টিনায় ২০১৯ সালে রোহিঙ্গা অধিকার গোষ্ঠীর দ্বারা দায়ের করা আরেকটি সর্বজনীন বিচারব্যবস্থার মামলায় সামরিক বাহিনী একই কথিত অপরাধের জন্য তদন্তাধীন রয়েছে, যা তারা অস্বীকার করে।