ইউক্রেনকে ১০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দেবার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর সপ্তরে ইউক্রেনের ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রদর্শিত হয়। ৫ এপ্রিল,২০২২।

ইউক্রেনের সংঘাত নিয়ে ২দিন ব্যাপী আলোচনার জন্য ব্রাসেলসে নেটোভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জড়ো হওয়ার পরপরই ইউক্রেনের জন্য ১০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

পেন্টাগনের প্রেস সচিব জন কারবি বলেছেন, এ সহায়তা “অতিরিক্ত জ্যাভলিন এন্টি-আর্মার সিস্টেম সংক্রান্ত ইউক্রেনের জরুরি প্রয়োজন মেটাবে যা যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে দিয়ে আসছে এবং তারা তাদের দেশকে রক্ষা করার জন্য কার্যকরভাবে ব্যবহার করছে।“

বৈঠকের আগে নেটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোলটেনবার্গ সাংবাদিকদের বলেন, জোটের সদস্যরা সামরিক সরঞ্জাম ও সাইবার নিরাপত্তা সহায়তার সাথে মানবিক ও অর্থনৈতিক সহায়তাসহ “ইউক্রেনকে আরো সহায়তা দিতে বদ্ধপরিকর।“

মঙ্গলবার গভীর রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন যে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন দফা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পশ্চিমা নেতাদের সাথে আলোচনা করেছেন।

রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহের ওপর ইউরোপের নির্ভরতা ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা জারি করার ব্যাপারে নেতাদের অনিচ্ছুক করে তুলেছে। এর সমালোচকরা এবং জেলেন্সকি যুক্তি দিয়েছেন যে, ইউক্রেনে আক্রমণ বন্ধ করার জন্য রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করার উদ্দেশে এ ধরনের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

মঙ্গলবার জেলেন্সকি রাশিয়াকে থামানোর ব্যাপারে নিষ্ক্রিয়তার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে অভিযুক্ত করেছেন এবং ইউক্রেনে সংঘটিত অপরাধের জন্য মস্কোকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ ১২১টিরও বেশি শিশুসহ কমপক্ষে ১৪৮০ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং বলেছে প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত অনেক বেশি। এ সংঘাতে ৬ সপ্তাহেরও কম সময়ে ১ কোটিরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।তাদের মধ্যে ৪২ লাখেরও বেশি মানুষ এখন উদ্বাস্তু।

(ভয়েস অফ আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা সংবাদদাতা জেফ সেলডিন ও হোয়াইট হাউসের ব্যুরো চিফ প্যাটসি উইদাকুসওয়ারা এ প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন)