জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় শ্রীলঙ্কা সরকারকে দেশটির অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ প্রশমিত করতে সহিংসতার পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে।
কয়েক দিন আগে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ও অন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর থেকে উত্তেজনা বাড়ছে। কয়েক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের প্রতিবাদে জনসমাবেশে লাগাম টানতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
জাতিসংঘের মানবাধিকারের মুখপাত্র লিজ থ্রসেল বলেছেন যে, উদ্বেগজনক লক্ষণ হচ্ছে সরকার দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের কারণে ধৈর্য হারাচ্ছে। তিনি বলেন, জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়, জ্বালানি ও অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি রোধে জনগণ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে।
থ্রসেল বলেন, উদ্বেগের বিষয় হলো ভিন্নমত এবং জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সমাবেশের অধিকারকে রোধ করতে জরুরি অবস্থা ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের মাধ্যমে জনগণকে অভিযোগ প্রকাশ করতে বাধা দেওয়ার জন্য জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট এর আগে সরকারি নীতির প্রতিবাদের জবাবে সরকারের গৃহীত দমনমূলক ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
“হাইকমিশনার যেমন ফেব্রুয়ারিতে মানবাধিকার কাউন্সিলে তার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, শ্রীলঙ্কার সামরিকীকরণের দিকে অগ্রসর হওয়া এবং প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্যের দুর্বলতা কার্যকরভাবে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা, দেশটির সকল মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার নিশ্চিত করার রাষ্ট্রের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করেছে”, মুখপাত্র বলেছেন।
থ্রসেল বলেন, হাইকমিশনার বিশ্বাস করেন যে, সরকার এবং রাজনৈতিক ও নাগরিক সমালোচকদের মধ্যে অর্থপূর্ণ সংলাপ দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের সমাধান দেবে। তিনি যোগ করেন, মানবাধিকার অফিস ঘনিষ্ঠভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।