সংকট নিরসনে শ্রীলঙ্কার আইনপ্রণেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চান

প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসার পদত্যাগের দাবিতে কলম্বোতে বিক্ষোভ। মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল,২০২২ । (এপি ফটো/ এরাঙ্গা জয়াবর্ধন)

মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার শাসকদলের আইনপ্রণেতাদের একটি দল অন্তর্বর্তী সরকার নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে। অন্যথায় দেশ সহিংসতা ও নৈরাজ্য তৈরি হবে বলে সতর্ক করেছেন তারা। কারণ গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বিক্ষোভকারীরা শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসার পদত্যাগের দাবি অব্যাহত রেখেছে।

হাজার হাজার মানুষ জরুরি অবস্থা এবং কারফিউ অমান্য করেছে। সরকারের নিন্দা করে তারা রাস্তায় বিক্ষোভে যোগ দেয়ার পর রোববার রাতে শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করেছে।

প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসা জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। এর ফলে তিনি জনশৃঙ্খলা রক্ষা, বিদ্রোহ দমন, দাঙ্গা বা নাগরিক বিশৃঙ্খলা ও প্রয়োজনীয় সরবরাহ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যাপক কর্তৃত্বের অধিকারী হয়েছেন।

পর্যটন ও বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে মহামারি ব্যাপক আঘাত হেনেছে। সরকারের অনুমান, গত দুই বছরে ১৪০০ কোটি ডলার অর্থমূল্যের ক্ষতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এক হিসেব অনুযায়ী ২০২১ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে দেশটির অর্থনীতি ১.৫ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলারের ওপরে চলে যাওয়ায় ইতিমধ্যেই ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তেলের অভাবে খালি ট্যাংক নিয়ে যানবাহন স্থবির হয়ে আছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে শিক্ষার্থদের পরীক্ষার পড়াশোনার সময়সীমা কমে যাচ্ছে, শপিংমলের এয়ার কন্ডিশনারগুলো বন্ধ রাখা হচ্ছে।

রোববার পদত্যাগ করা মন্ত্রীসভার সদস্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ক্রীড়ামন্ত্রী নমাল রাজাপাকসার সাথে প্রেসিডেন্টের দুই ভাই বাসিল রাজাপাকসা ও সেচ মন্ত্রী চামাল রাজাপাকসাও ছিলেন।

নির্বাহী, প্রতিরক্ষা ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতা ধরে রেখে এ পদত্যাগগুলোকে জনগণের ক্ষোভ প্রশমিত করতে রাজাপাকসা পরিবারের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।