জর্ডানের যুবরাজ হামজা বিন আল-হুসাইন রবিবার (৩ এপ্রিল) ঘোষণা করেন যে, তিনি জর্ডানের বর্তমান নীতির প্রতিবাদে তার রাজকীয় উপাধি ছেড়ে দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, তিনি জর্ডানের সিংহাসনের প্রাক্তন উত্তরাধিকারী ছিলেন এবং তাকে গত বছর গৃহবন্দী করা হয়েছিল।
গত এপ্রিলে হামজার বিরুদ্ধে বিদেশি-সমর্থনে চক্রান্ত করে রাজতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু তার সৎ ভাই বাদশাহ আবদুল্লাহর প্রতি আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরে তাকে শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
তার টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত একটি চিঠিতে, হামজা বলেন, তিনি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যা প্রত্যক্ষ করেছেন তাতে জর্ডানের প্রতিষ্ঠানগুলোর নীতিকে সমর্থন করা তার জন্যে কঠিন হয়ে উঠেছে।
তিনি লিখেছেন, “আমি একটি উপসংহারে পৌঁছেছি যে, আমার পিতা (প্রয়াত বাদশাহ হুসেন) আমার মধ্যে যে ব্যক্তিগত দৃঢ় প্রত্যয় এবং নীতির সূচনা করেছিলেন তা আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর পথ, নির্দেশনা এবং আধুনিক পদ্ধতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়”।
১৯৯৯ সালে বাদশাহ হুসেন মারা গেলে আবদুল্লাহ বাদশাহ হন। এ সময় ৪২ বছর বয়সী হামজাকে ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পাঁচ বছর পরে আবদুল্লাহ তার নিজের ছেলেকে উত্তরাধিকারী হিসেবে ঘোষণা দিলে হামজা সেই উপাধি হারান।
গত বছর দুর্নীতি ও স্বৈরাচারী শাসনের অভিযোগ তুললে তাকে গৃহবন্দী করা হয়। এই বিরোধ মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতার প্রতীক জর্ডানের ভাবমূর্তিকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়।
পরে একজন প্রাক্তন রাজকীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং রাজপরিবারের একজন নাবালক সদস্যকে হামজাকে ক্ষমতায় আনার কথিত চক্রান্তে জড়িত থাকার জন্য ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
হামজা গত মাসে ক্ষমা প্রার্থনা করে একটি বিবৃতি দেন, যেখানে তিনি জর্ডানের শাসকদের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ না করার অঙ্গীকার করেন।
তবে রবিবার তার বিবৃতিটি সংক্ষিপ্ত ছিল, তিনি রাজা বা নিজের ভবিষ্যতের কোনো ভূমিকার উল্লেখ না করে ব্যক্তিগতভাবে জর্ডানের সেবা চালিয়ে যাবেন বলে মন্তব্য করেন।