থাইল্যান্ড ও দক্ষিণের বিদ্রোহী দল রমজান মাসে সহিংসতা বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে

দক্ষিণ থাইল্যান্ডের পাত্তানি, ইয়ালা ও নারিথিওয়াত প্রদেশ

থাই সরকার শনিবার (২ এপ্রিল) আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে সহিংসতা বন্ধ করতে সম্মত হওয়ার পরে থাইল্যান্ডের দক্ষিণে একটি প্রধান বিদ্রোহী দলের সঙ্গে সর্বশেষ আলোচনায় “উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি”কে স্বাগত জানিয়েছে।

থাই সরকারের একটি প্রতিনিধিদল এবং প্রধান বিদ্রোহী দল বারিসান রেভ্যুলুসি ন্যাশনালের (বিআরএন) প্রতিনিধিরা কোভিডের কারণে দুই বছরের বিরতির পর এই সপ্তাহের শুরুতে মালয়েশিয়ায় শান্তি সংলাপ আবার শুরু হওয়ার পর নতুন দফায় আলোচনায় বসেন।

নারিথিওয়াত, ইয়ালা ও পাত্তানি প্রদেশে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ অধ্যুষিত থাইল্যান্ডের মালয়ভাষী মুসলিম এলাকা সোংখলার কিছু অংশে এক দশকের পুরনো বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়লে ২০০৪ সাল থেকে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

বিআরএন এক বিবৃতিতে বলেছে যে, দুই পক্ষই রমজান মাসে সহিংসতা বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে, যা ৩ এপ্রিল থেকে ১৪ মে পর্যন্ত চলবে।

থাইল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেছে যে, রমজানের সময় একটি “শান্তি উপযোগী পরিবেশ” মানুষকে “নিরাপদভাবে তাদের ধর্মীয় আচারগুলো সম্পাদন করতে” সাহায্য করবে এবং শান্তি সংলাপে জনগণের আস্থা বাড়াবে।

বিদ্রোহী দলগুলো দক্ষিণের মালয়-মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশগুলোর জন্য স্বাধীনতা দাবি করেছে। এ অঞ্চলগুলো পাটানি নামক একটি সালতানাতের অংশ ছিল এবং ১৯০৯ সালে ব্রিটেনের সঙ্গে চুক্তির অংশ হিসেবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছিল।

বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, মালয় মুসলমানদের থাইল্যান্ড কর্তৃক জোরপূর্বক আত্তীকরণ করা হয়েছে। অতীতের নৃশংসতার জন্য থাই নিরাপত্তা বাহিনীকে তারা দোষারোপ করেছে। অন্যদিকে থাই সরকার ওই এলাকায় তাদের কার্যকলাপের পক্ষে সাফাই চালিয়েছে।

থাই সরকার ও বিদ্রোহী দলগুলোর মধ্যে ২০১৩ সালে আলোচনা শুরু হয়েছিল। যদিও সেগুলো প্রায়শই ব্যাহত হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে আলোচনা আবার শুরু হয়। এর ফলে ২০২০ সালের প্রথম দিকে মালয়েশিয়ায় আনুষ্ঠানিক শান্তি আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু মহামারির কারণে সেটিও বাধাগ্রস্ত হয়।