মালি’র সেনাবাহিনী শুক্রবার জানায় যে দেশটির সাহেল প্রদেশের কেন্দ্রে পরিচালিত একটি অভিযানে তারা ২০৩ জন যোদ্ধাকে মেরে ফেলেছে। এতে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় যে, সংঘর্ষবিধ্বস্ত দেশটিতে সহিংসতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেনাবাহিনী জানায় যে, মার্চের ২৩-৩১ তারিখের অভিযানটি সাহেলের মৌরা এলাকায় পরিচালিত হয়। তারা এলাকাটিকে একটি “সন্ত্রাসী রাজ্য” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
সৈন্যরা ২০৩ জন জঙ্গিকে মেরে ফেলেছে, ৫১ জনকে গ্রেফতার করেছে এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র জব্দ করেছে বলে, সেনাবাহিনীর বিবৃতিটিতে জানানো হয়।
মালিতে সামাজিক মাধ্যমে এই সপ্তাহে এমন অভিযোগ উঠে আসে যে, মৌরাতে বেসামরিক লোকজনসহ ডজনকয়েক মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে। তারপরই সেনাবাহিনীর এই ঘোষণাটি দেওয়া হয়।
এএফপি’র পক্ষে সেনাবাহিনীর দাবিকৃত নিহতের সংখ্যা বা সামাজিক মাধ্যমের খবরগুলো যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
মালির সংঘর্ষপ্রবণ এলাকাগুলোর দূর্বল যাতায়াত ব্যবস্থা এবং স্বাধীন তথ্যসূত্রের তুলনামূলক অভাবের ফলে, সরকার বা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো কর্তৃক প্রদত্ত সংখ্যাগুলো যাচাই করা কষ্টসাধ্য একটি বিষয়।
এএফপির নজরে আসা একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে এই বিষয়ে সতর্ক করেছেন যে, মালির সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টাগুলো “বেসামরিক জনগণের জন্য সর্বনাশা পরিণতি” ডেকে এনেছে।
শুক্রবারের বিবৃতিটিতে মালির সেনাবাহিনী বলে যে, তারা মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা পরিচালিত । “মানহানিকর আঁচ-অনুমান থেকে সংযত” থাকার আহ্বানও জানায় তারা।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মনে হয়েছে যে দেশটিতে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতিসংঘ শুক্রবার জানায় যে, লড়াই থেকে বাঁচতে হাজার হাজার মানুষ মালি থেকে পালিয়ে নিজার এ এসে পৌঁছেছে।
তার একদিন আগে, অঞ্চলটিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনটি জানায় যে, বুরকিনা ফাসো এবং নিজারের সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তার “উল্লেখযোগ্য অবনতি” হয়েছে।