যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড (ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড—এনটিএসবি) শুক্রবার (১ এপ্রিল) বলেছে যে, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান থেকে ককপিট ভয়েস রেকর্ডার ডাউনলোড করতে চীনা তদন্তকারীদের তারা সহায়তা করছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের একটি তদন্তকারী দলকে চীনে পাঠিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বোর্ড রয়টার্সকে বলেছে যে, তারা “ওয়াশিংটনের গবেষণাগারে চায়না ইস্টার্ন ফ্লাইট ৫৭৩৫ থেকে ককপিট ভয়েস রেকর্ডার ডাউনলোড করতে” চীনের সিভিল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে সাহায্য করছে।
সহায়তার জন্য ওয়াশিংটনে মূল নমুনা পাঠানোর চীনের সিদ্ধান্ত বিষয়টির গুরুত্বের ইঙ্গিত দেয়। উল্লেখ্য, দেশ দুটির মধ্যে বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ চলছে।
২১ মার্চ দক্ষিণ চীনের একটি পাহাড়ের ধারে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৩২ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন। এটি ২৮ বছরের মধ্যে চীনের মূল ভূখণ্ডের সবচেয়ে মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা। উদ্ধারকারী কর্মীরা রবিবার ধ্বংসাবশেষে দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স (ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার) খুঁজে পেয়েছেন।
তদন্তকারীরা ককপিট ভয়েস রেকর্ডার থেকে ফ্লাইটের তিনজন পাইলটের মধ্যে যোগাযোগের বিশদ বিবরণ পেতে পারেন।
চীনে এনটিএসবি বিশেষজ্ঞরা
এর আগে শুক্রবার এনটিএসবি বলেছিল যে, তিন সদস্যের তদন্তকারীর একটি দল বিমান বিধ্বস্তের তদন্তে সহায়তা করার জন্য চীনে রওনা হয়েছেন।
এনটিএসবির একজন মুখপাত্র বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের দলটি একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ভ্রমণ করছেন। দলটি চীনের দুর্ঘটনার এলাকায় ভ্রমণ করবেন কি না তা পরিষ্কার নয়, বা দলটি কতক্ষণ চীনে থাকবেন তাও জানা যায়নি। তবে তারা কয়েক সপ্তাহ অবস্থান করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এনটিএসবি আরও বলেছে যে, বোয়িংয়ের একটি ছোট দল তদন্তে সহায়তা করার জন্য চীনে যাচ্ছেন।
একটি আন্তর্জাতিক চুক্তির অধীনে, এনটিএসবির তদন্তে অংশগ্রহণের অধিকার রয়েছে। যেহেতু বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রে নকশা ও নির্মিত হয়েছিল৷
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে চীনের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থার বৈঠকের পরে বৃহস্পতিবার চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলেছে যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিমানটির বিধ্বস্তের কারণ নির্ধারণ করতে হবে।