তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ বৃহস্পতিবার বলেছেন যে তিনি এই সপ্তাহে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করবেন না, যা কিনা গণতান্ত্রিক সংবিধানের বেশিরভাগ অংশকে একপাশে সরিয়ে এক ব্যক্তির শাসনের দিকে অগ্রসর হওয়ার সর্বসাম্প্রতিক পদক্ষেপ।
তিউনিশিয়ার সব ধরণের রাজনৈতিক দল এবং শক্তিশালী শ্রমিক ইউনিয়ন সংবিধানের উদ্ধৃতি দিয়ে দাবি করেছে যে প্রেসিডেন্ট বুধবার সংসদ ভেঙে দেওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছেন, তারপরে তিনি দ্রুত নির্বাচন করুন।
প্রেসিডেন্টের ফেসবুক পেইজে মধ্যরাতে পোস্ট করা প্রধানমন্ত্রী নাজলা বাউডেনের সঙ্গে বৈঠকের ভিডিওতে সাইদ বলেন, "আমি জানি না তারা কীভাবে এই ব্যাখ্যা পায়।"
বৃহস্পতিবার, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন যে ওয়াশিংটন সাঈদের সংসদ ভেঙে দেওয়ায় এবং এ রকম খবরে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে তিনি রাষ্ট্রপতির অবমাননা করে অধিবেশনে যোগদানকারী আইন প্রণেতাদের বিচার করবেন।
একটি অনলাইন ভিডিওতে প্রাইস বলেছেন, "নির্বাচিত সংসদ সহ সাংবিধানিক সরকারে দ্রুত প্রত্যাবর্তন গণতান্ত্রিক শাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।"
তিউনিশিয়ার ২০১১ সালে গণতন্ত্রের সূচনা করা বিপ্লবের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সেখানকার একটি প্রধান দাতা দেশ এবং এখন সাঈদের সরকার দেশের অর্থায়নের সংকট এড়াতে আন্তর্জাতিক অর্থ সাহায্য চাইছে।