ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তার প্রাত্যহিক সান্ধ্যকালীন বক্তব্যে বৃহস্পতিবার জানান যে, তিনি দেশটির দুইজন শীর্ষ জেনারেলকে পদচ্যুত করেছেন।
ভলোদিমির জেলেন্সকি ঐ জেনারেলদের “খলনায়ক” হিসেবে বর্ণনা করেন। তাদের মধ্যে একজন জেনারেল দেশটির মূল গোয়েন্দা সংস্থার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। অপরজন খেরসন অঞ্চলে সংস্থাটির গোয়েন্দা প্রধান ছিলেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন যে, তার “সকল বিশ্বাসঘাতকদের সামাল দেওয়ার সময় নেই, কিন্তু ধীরে ধীরে তাদের সকলকেই শাস্তি পেতে হবে।”
এদিকে, ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, রুশ বাহিনী ১৪ টন মানবিক সহায়তা সামগ্রী আটক করেছে। ১২টি বাসের একটি বহরে করে সেগুলোকে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সহায়তা সামগ্রীগুলোর মধ্যে ওষুধ ও খাদ্য ছিল।
৪৫টি বাসের আরেকটি বহরকেও সেগুলোর গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই বৃহস্পতিবার রুশ বাহিনী থামিয়ে দেয়। অবরুদ্ধ মারিউপোল শহর থেকে বেসামরিক মানুষজনকে সরিয়ে আনতে বাসগুলোকে পাঠানো হয়েছিল। তাৎক্ষণিকভাবে এই বিষয়টি পরিষ্কার ছিল না যে, কখন বা আদৌ বহরটিকে যেতে দেওয়া হবে কিনা।
অপরদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আশেপাশে নিজেদের সামরিক অভিযানের মাত্রা হ্রাস করার অঙ্গীকার রাশিয়া ভঙ্গ করেছে বলে জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। তার এক দিন পরই রাশিয়ার দাবিগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্ররা অব্যাহত সংশয়ের নজরে দেখছেন।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে, এয়ার ভাইস মার্শাল মিক স্মিথ এক বিবৃতিতে বলেন, “শহরটির আশেপাশে আগামী কয়েকদিনে তুমুল লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”