তার সরকারকে উৎখাতের চেষ্টার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করলেন ইমরান খান

পাকিস্তানের ইসলামাবাদে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরাসরি সম্প্রচারিত একটি বক্তব্য দেখছেন এক ব্যক্তি, ৩১ মার্চ ২০২২।

কোণঠাসা হয়ে পড়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, বিরোধীদলগুলোর করা তার পদত্যাগের আহ্বানটিকে বৃহস্পতিবার প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন। একই সময়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তার সরকারকে উৎখাতের চেষ্টার অভিযোগ করেন। রবিবার সংসদে একটি অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটের সম্মুখীন হবেন তিনি।

আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে যে তার বক্তব্যটি মুখ ফসকে বেরিয়ে গিয়েছে। সেখানে পাকিস্তানের এই নেতা যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি “মেমো” (স্মারক) এসেছে বলে উল্লেখ করে বলেন যে, একটি “বিদেশী ষড়যন্ত্রের” বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আক্রমণটি আরম্ভ করার দিনে খানের রাশিয়া সফর করাই সেটির কারণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে খান বলেন, “আমরা আমেরিকা থেকে একটি বার্তা পেয়েছি – ওহ, আমেরিকা থেকে না, আমি বলতে চেয়েছি যে একটি বিদেশী রাষ্ট্র থেকে যেটির নাম আমি বলতে পারব না।”

স্মারকটির লেখা উদ্ধৃত করে খান বলেন, “তারা বলছে যে তারা পাকিস্তানের উপর ক্ষুব্ধ … তারা বলছে যে তারা পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দিবে যদি ইমরান খান অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে যায়। কিন্তু যদি অনাস্থা ভোটে কাজ না হয়, তাহলে পাকিস্তানকে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।”

পাকিস্তানের মূলধারার গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মীরা জানিয়েছেন যে, উল্লেখিত বার্তাটি ওয়াশিংটনে ইসলামাবাদের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে ৭ মার্চে প্রদান করা হয়। তার একদিন পর বিরোধীরা সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন।

তবে, বিরোধী নেতারা সাথে সাথেই খানের অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন বলে নাকচ করে দিয়েছেন। তারা বলেন যে, নিশ্চিত পরাজয় জেনে সেই নৈরাশ্য থেকে তিনি এমন কথা বলেছেন। ওয়াশিংটনও এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র নেড প্রাইস, এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনের সময়ে বলেন, “এই অভিযোগগুলোর মধ্যে কোন সত্যতা নেই।”

প্রাইস আরও বলেন, “আমরা পাকিস্তানের ঘটনাপ্রবাহ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। পাকিস্তানের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ও আইনের শাসনকে আমরা শ্রদ্ধা করি [এবং] সমর্থন করি।”