ইউক্রেনে যুদ্ধের কৌশলগুলো পর্যালোচনা করতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে। পর্যালোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে যে কিভাবে দেশটি রাশিয়ার আক্রমণ রুখতে সমর্থ হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানান তাইওয়ান এই বিষয়গুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও আলাপ করছে।
তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখন্ড বলে দাবি করে চীন। রাশিয়ার মত চীনও একই ধরণের পদক্ষেপ নিতে পারে এই আশঙ্কায়, রাশিয়ার আক্রমণটির পর থেকে তাইওয়ান নিজেদের সতর্কতার মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। তবে এমনটি হওয়ার কোন লক্ষনের কথা জানায়নি দেশটি।
চীনের সামরিক বাহিনীর উপর এই যুদ্ধের সম্ভাব্য প্রভাব হচ্ছে তাইওয়ান সম্পর্কে চীনের একই রকম ভাবনা এবং কিভাবে চীন তাইওয়ান দ্বীপটিতে আক্রমণ চালাতে পারে – এমন সব বিষয় নিয়ে তাইপেই এর সরকারী মহলে ব্যাপক তর্কবিতর্ক চলেছে।
সংসদের পার্শ্ব-আলোচনায় সংবাদদাতাদের সাথে আলাপকালে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী চিউ কুও-চেং বলেন যে, যুদ্ধটিতে কিভাবে লড়াই হচ্ছে সেই বিষয়ে অন্যান্য দেশের সাথে তাদের “যোগাযোগ” হয়েছিল। তারা বিষয়টি পর্যালোচনা করতে তাদের নিজস্ব ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে।
তিনি জানান যে, তাইওয়ান যে সব বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দূর্বল ভাবে কর্মসম্পাদন এবং ইউক্রেনের প্রতিরোধ।
বিস্তারিত না জানিয়ে চিউ আরও বলেন, “শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মতবিনিময় সভাতেই যে এগুলো নিয়ে আলোচনা হয় তা নয়, বরং আমাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগে থাকা অন্যান্য দেশের সাথেও তা আলোচনা করা হয়।”
তাইওয়ানের টিমে দেশটির ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির শিক্ষাবিদরা রয়েছেন বলে জানান তিনি।
বিগত প্রায় দুই বছর ধরে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে নিজেদের সামরিক চাপ বৃদ্ধি করে চলেছে চীন।
দ্বীপটির উপর চীনের সার্বভৌমত্বের দাবিটি প্রত্যাখ্যান করে তাইওয়ান বলে আসছে যে, শুধুমাত্র দ্বীপটির বাসিন্দারাই নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।