ইরাকের আইনপ্রণেতারা তৃতীয়বারের মতো নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যর্থ হলো

ইরাকি ধর্মগুরু মুক্তাদা আল-সদরের সংসদীয় ব্লকের সাথে যুক্ত আইন প্রণেতারা ইরাকের বাগদাদে একটি সংসদীয় অধিবেশনে যোগ দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ৩০ মার্চ,২০২২।

বুধবার ইরাকি আইনপ্রণেতারা কোরামের অভাবে তৃতীয়বারের মতো নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, এর ফলে যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত দেশটির রাজনৈতিক সংকট দীর্ঘায়িত হচ্ছে।

গত বছরের নির্বাচনের পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পার্লামেন্টের ক্রমাগত ব্যর্থতা শিয়া রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর বিভাজনের প্রতিফলন। একটি ব্লক এই কার্যধারা বয়কট করছে।

নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ইরাকের ফেডারেল আদালত আইনপ্রণেতাদের ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছে। এর মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন না করা গেলে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হামজা হাদ্দাদ বলেন, “আমরা এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছাতে পারি যেখানে অচলাবস্থা ভাঙার জন্য নতুন নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।“

আইন বিশেষজ্ঞ আহমেদ আল-সুফির মতে, বিচার বিভাগ শুধুমাত্র “সংবিধান লঙ্ঘন” হচ্ছে কিনা তা নির্ধারণ করতে পারে কিন্তু রাজনৈতিক অচলাবস্থা ভাঙার কোনো উদ্যোগ নিতে পারে না।

একটি সংসদীয় সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, বুধবার সংসদে ৩২৯ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে মাত্র ১৭৮ জন উপস্থিত ছিলেন যা ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশের কোরামের তুলনায় অনেক কম।

২০২১ সালের অক্টোবরের আইনসভা নির্বাচনের পর ৬ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও ইরাকে এখনো নতুন প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী নেই যা দেশটিকে রাজনৈতিক পক্ষাঘাতের মধ্যে রেখেছে।

অক্টোবরের নির্বাচনের পর ইরাক রাজনীতি বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়েছিল। রেকর্ড সংখ্যক কম ভোটার, ভোট পরবর্তী হুমকি এবং সহিংসতার কারণে এবং চূড়ান্ত ফলাফল নিশ্চিত হওয়ার আগে এক মাস দীর্ঘ বিলম্বও ইরাকের রাজনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

কট্টরপন্থী শিয়া ধর্মগুরু মোক্তাদা সদরের নেতৃত্বাধীন বৃহত্তম রাজনৈতিক ব্লক আহমেদকে সমর্থন করার আগে প্রেসিডেন্ট জেবারিকে সমর্থন করেছিল।

বুধবার মোক্তাদা সদর কোনোপ্রকার সমঝোতা প্রত্যাখ্যান করে সতর্ক করে দেন যে একটি ঐকমত্য সরকার ইরাকের “মৃত্যু”-র সূচনা করবে।