ফিলিপাইন এবং যুক্তরাষ্ট্র ২০১৫ সালের পর থেকে তাদের বৃহত্তম যৌথ সামরিক মহড়া সোমবার আরম্ভ করেছে। এর ফলে প্রতিরক্ষা বিষয়ে দেশ দুইটির মধ্যে আরও গভীর সম্পর্কের বিষয়টি উঠে এসেছে। এর আগে চীনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টায়, ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতার্তে সামরিক মহড়ার মাত্রা হ্রাস করেছিলেন।
বার্ষিক “বালিকাতান” (কাঁধে মেলানো কাঁধ) মহড়াটিতে এ বছর ৮,৯০০ সেনাসদস্য অংশগ্রহণ করছে। এটি চলাকালীন তাজা গুলি ব্যবহার করে মহড়া অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রশিক্ষণে উভচর শাঁজোয়া যান ব্যবহার করা হবে।
২০১৬ সালে দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে, ঋণ ও বিনিয়োগের অঙ্গীকারের বিনিময়ে চীনের সাথে আরও নিবিড় সম্পর্ক গঠনের চেষ্টায় ছিলেন দুতার্তে। অপরদিকে, চুক্তিবদ্ধ মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে ফেলেন তিনি।
তবে, দুই দশক পুরনো একটি চুক্তি বাতিলের হুমকি থেকে গত বছর সরে আসেন দুতার্তে। চুক্তিটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা উপস্থিতি সংক্রান্ত বিয়ষগুলো নিয়ন্ত্রণ করে।
ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেলফিন লরেঞ্জানা এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা বিশ্বকে এই বার্তা দিচ্ছি যে, আমাদের দুই দেশের মধ্যকার মৈত্রী যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি মজবুত।”
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে মহড়াটির পরিচালক, মেজর জেনারেল জে বারগেরন বলেন যে, মহড়াটি যে কোন দূর্যোগ মোকাবেলায় দেশটির প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ও প্রস্তুতি আরও উন্নত করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং এটিকে শক্তির প্রদর্শনী হিসেবে বিবেচনা করা উচিৎ নয়।
তবে দুই সপ্তাহব্যাপী এই মহড়াটি এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত এলাকাগুলোতে চীনের কর্মকান্ডগুলোর বিরুদ্ধে ফিলিপাইন সোচ্চার হয়ে উঠেছে।
আরও গভীর সম্পর্ক গঠনের চেষ্টা করলেও, চীনের কর্মকান্ড বিষয়ে ফিলিপাইন আগের তুলনায় অধিক সমালোচনামূলক হয়ে উঠেছে। এমন কর্মকান্ডের মধ্যে রয়েছে, আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের চালিত মাছ ধরার নৌকা নিয়ে বিতর্কিত স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জে, ফিলিপাইনের ভাষ্যমতে, “ঝাঁক বেঁধে” আসা এবং গত বছর একটি সামরিক সরবরাহ মিশনকে অবরোধ করা।
ফিলিপাইনের ভাষ্যমতে, চীনের নৌবাহিনীর একটি জাহাজের “অবৈধ অনুপ্রবেশ ও দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতির” বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ফিলিপাইন।