নিয়ামি, নাইজার — শনিবার নাইজারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ঘোষণা করেছে, বুরকিনা ফাসো সীমান্তের কাছে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি হামলায় নাইজারের ছয়জন সেনা নিহত হয়েছেন।
গত দশ দিনের মধ্যে এটি দ্বিতীয় হামলা। কয়েক সপ্তাহ শান্ত থাকার পরে বৃহস্পতিবারের (২৪ মার্চ) সংঘটিত এই হামলাটি এই অঞ্চলে আবারও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবারের হামলার তথ্য দিয়ে মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, “কোলমান গ্রামের আশেপাশে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের একটি দল নাইজারের সশস্ত্র বাহিনীর এসকর্ট মিশনকে অতর্কিত আক্রমণ করে”।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, “ছয় সেনা নিহত, একজন আহত এবং একটি গাড়ি ধ্বংস হয়েছে’, আক্রমণকারীদের পক্ষের হতাহতের সংখ্যা “জানা যায়নি”।
বৃহস্পতিবার হামলা হওয়া টিলাবেরি অঞ্চলটি বুরকিনা ফাসো এবং মালির সীমান্তে একটি বিস্তীর্ণ এলাকা। এখানে ২০১৭ সাল থেকে আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসীরা রক্তাক্ত হামলা চালিয়ে আসছে।
গত সপ্তাহে সন্দেহভাজন জিহাদিরা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি বাস ও একটি ট্রাকে হামলা চালিয়ে ২১ জনকে হত্যা করে।
নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম, একটি নতুন পদ্ধতিতে, শান্তি বজায় রাখার প্রয়াসে জিহাদি নেতাদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন।
কিন্তু সামরিক প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে, প্রায় ১২ হাজার সেনা এক ডজন জিহাদি বিরোধী অভিযানে কাজ করছে। তাদের প্রায় অর্ধেক মালি ও বুরকিনা ফাসোর ১৪ হাজার কিলোমিটার সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় নিয়োজিত।