মানাগুয়া, নিকারাগুয়া — আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করলেন, ওয়াশিংটনে অবস্থানরত অর্গানাইজেশন অফ আমেরিকান স্টেটস’এর নিকারাগুয়ান রাষ্ট্রদূত আর্তুরো ম্যাকফিল্ডস নিকারাগুয়ার "স্বৈরাচারী" সরকারকে নিন্দা করে পক্ষ ত্যাগ করলেন । বিশ্লেষকরা বলছেন, তার এই পক্ষ ত্যাগ প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার নেতৃত্বের বিভাজনকেই প্রকাশ করেছে।
প্রাক্তন বামপন্থী গেরিলা ওর্তেগা, (৭৬) ২০০৭ সালে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে তিনি তার স্যান্ডিনিস্তা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (এফএসএলএন) পার্টিকে শক্ত হাতে কব্জা করে রেখেছেন।
বিরোধীদের মতে, দলের মধ্যে কেউ সরকারের নীতি অমান্য বা সমালোচনা করার দুঃসাহস করে না। যারা করেছে, তারা এখন হয় কারাগারে রয়েছে কিংবা নির্বাসিত হয়েছে।
ওএএস অধিবেশনকে ম্যাকফিল্ডসকে হতবাক করে"আমার দেশের একনায়কত্বকে নিন্দা করেন" এবং "১৭৭ জন রাজনৈতিক বন্দীকে" আটকে রাখার সমালোচনা করেন।
পরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ওই বন্দিরা কারাগারে ‘পচে মরছে’।
তিনি বলেন যে তিনি " সর্ব স্তরের হাজার হাজার বেসামরিক এবং সামরিক কর্মকর্তার পক্ষে কথা বলছেন, যাদেরকে নিকারাগুয়ান সরকারকে সমর্থন করতে বাধ্য করা হয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সরকারের মধ্যে অনেকেই তাদের মতামত প্রকাশ করতে চায়, কিন্তু প্রতিশোধের আশঙ্কায় তারা কথা বলতে ভয় পায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাক্তন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা লিগিয়া গোমেজ প্রেসকে বলেছেন, "সরকারের কঠোর চাপ নিশ্চিত করে যে কেউ যাতে তাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ না তোলে।"
২০১৮ সালে রাস্তার প্রতিবাদকারীদের উপর রক্তক্ষয়ী দমন-পীড়নকে সমর্থন করতে অস্বীকার করায়, তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। পরে ওই আন্দোলন সরকারের ভিতকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।
সেসময় নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর দমন পীড়নের ফলে, ৩৫০ জন আন্দোলনকারী নিহত হয় , কয়েকশ’ জেলে নিপতিত হয় এবং কয়েক হাজার বিদেশে পালিয়ে যায়।
২০২১ সালের জুন থেকে শুরু করে, ৪৬ জন বিরোধী রাজনীতিককে, যার মধ্যে সাতজন রাষ্ট্রপতি প্রার্থী ছিলেন, নভেম্বরের নির্বাচনের আগে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। বিতর্কিত ওই নির্বাচনে ওর্তেগা টানা চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হন।
নিকারাগুয়ান সরকারের জন্য প্রায় ১,৫০,০০০ কর্মকর্তা কাজ করেন, যাদের অধিকাংশই ক্ষমতাসীন দলের সদস্য।