“দস্যু বনহুরের ভয়ে দেশবাসী প্রকম্পমান। পথে-ঘাটে-মাঠে শুধু ঐ এক কথা-দস্যু বনহুর-দস্যু বনহুর। কখন যে কোথায় কার ওপর হানা দিয়ে বসবে কে জানে। ধনীরা তো সব সময় আশঙ্কা নিয়ে দিন কাটাচ্ছে। তাদের ভয়ই বেশি।” -এই লাইনগুলো ষাটের দশকের বিখ্যাত ‘দস্যু বনহুর’ সিরিজের প্রথম বই ‘দস্যু বনহুর’- এর প্রথম প্যারা থেকে নেয়া। এ এক বীরত্বপূর্ণ অশ্বারোহী ডাকাতের গল্প। যে কিনা গরীবের বন্ধু, অত্যাচারীর যম। ধনীর বাড়িতে ডাকাতি করা অর্থ-সম্পদ বনহুর বিলিয়ে দিতো গরীব, অসহায়ের মাঝে। এই সিরিজের স্লোগান হচ্ছে ‘সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক দস্যু বনহুর’। এ যেন বাংলা সাহিত্যের এক রবিন হুডের গল্প!
বিগত শতকের শুরু থেকেই বাংলা ভাষাভাষী পাঠকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে গোয়েন্দা কাহিনী নির্ভর বিভিন্ন সিরিজ প্রকাশনা। পাঠকের কাছে এগুলো পরিচিত ছিল ‘ডিটেকটিভ নভেল’ হিসেবে। লেখকের নামে বা লেখকের সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্রের নামে এগুলো পরিচিত ছিলো। সে সময়ের জনপ্রিয় গোয়েন্দা সিরিজগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিরীটি, ব্যোমকেশ বক্সী, ফেলুদা আর রহস্য ও রোমাঞ্চ সিরিজের মধ্যে দস্যু বাহরাম সিরিজ, দস্যু মোহন, দস্যু বনহুর সিরিজ, তারও পরে কুয়াশা, মাসুদ রানা ইত্যাদি। তবে সাহিত্যে এই দস্যুদের আগমন হয়তো সেই দস্যু রত্নাকর বা রবিনহুডের আমল থেকেই। যাদের মন্ত্র ছিলো, দুষ্টের দমন। তার জন্য এই দস্যু নায়করা আইনেরও পরোয়া করতো না। এ ধরণের সিরিজের লেখকরা কিছুটা বিদেশী গল্প, কিছুটা কল্পনার আশ্রয়ে এমন প্রথাবিরোধী অন্যরকম নায়কদের চরিত্র নির্মাণ করেছেন যা তাদেরকে জনপ্রিয়তা ও খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে গিয়েছিলো।
‘দস্যু বনহুর’ এর স্রষ্টা রোমেনা আফাজ। এই সিরিজ তাঁকে এতটাই জনপ্রিয়তা দেয় যে, তিনি ‘দস্যু বনহুর খ্যাত রোমেনা আফাজ’ নামে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তবে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের ভীড়ে সে-সময়ে রোমেনা আফাজের তুমুল জনপ্রিয়তা প্রমাণ করেছিলো, একজন আটপৌরে নারীও রহস্য ও গোয়েন্দা উপন্যাস রচনা করে সফল লেখক হতে পারেন। পাশাপাশি তিনি আরও অনেক সামাজিক উপন্যাস এবং গল্প ও কবিতা লিখেছেন। তাঁর প্রথম বই ‘রক্তে আঁকা ম্যাপ’। বগুড়ার ‘সাহিত্য কুঠির’নামের একটি প্রকাশনা সংস্থা ১৯৫৯ সালে বইটি প্রকাশ করে। তাঁর লিখিত বইয়ের সংখ্যা মোট ২৫০টি। তার মধ্যে দস্যু বনহুর সিরিজ ১৩৮টি । তাঁর লেখা উপন্যাস অবলম্বনে ছয়টি বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মিত হয়, সেগুলো হলো- কাগজের নৌকা (১৯৬৬), মোমের আলো (১৯৭০), মায়ার সংসার (১৯৭৪), মধুমিতা (১৯৭৫), দস্যু বনহুর (১৯৭৬), মাটির মানুষ (১৯৯৪)। এর মধ্যে কাগজের নৌকা পরিচালনা করেন বিখ্যাত পরিচালক সুভাষ দত্ত, দস্যু বনহুর পরিচালনা করেন চিত্রনায়ক ও পরিচালক সোহেল রানা। চলচ্চিত্রগুলো ভীষণ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বিখ্যাত দস্যু বনহুর সিরিজের প্লট এরকম- ভদ্রঘরের সন্তান মনির ছোটবেলায় নৌ দুর্ঘটনায় হারিয়ে যায়। দস্যু সরদার তাকে বড় করে এবং দস্যু বনহুর রূপে গড়ে তোলে। গরীব, অসহায় মানুষের কাছে সে বন্ধু আবার চোরাকারবারী, অসদুপায়ে ধনসম্পদ অর্জনকারীর কাছে সে যমদূত। নিউজ প্রিন্টে প্রকাশিত এই সিরিজের কাহিনীর ঠাস বুনন পাঠককে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারতো। প্রতিটি সিরিজের শেষে পরবর্তী সিরিজের নাম দেয়া থাকতো।
বাংলাদেশের অনেক লেখক সাহিত্যিকের স্মৃতিতে এখনও আছেন রোমেনা আফাজ। পাঠক হিসেবে রোমেনা আফাজের দস্যু বনহুরের মূল্যায়ন জানতে চেয়ে কথা বলি কয়েকজন জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিকের সঙ্গে।
বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “রোমেনা আফাজ একজন ব্যতিক্রমী লেখক। যে সময়ে তিনি রহস্য উপন্যাস লেখা শুরু করেছিলেন তখন আর কোনো নারী লেখক এই ধারায় আসেননি। তাঁর চিন্তা, চেতনা, মননশীলতা এবং সৃজনশীলতার পুরো জায়গাটি আমার কাছে ভীষণ অর্থবহ মনে হয়। তাঁর এই রহস্য ও রোমাঞ্চ উপন্যাসগুলো পাঠক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কিশোর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত প্রত্যেক পাঠকের মনোজগৎকে তাঁর লেখাগুলো যেভাবে আলোড়িত করেছে সেখানেই রোমেনা আফাজের কৃতিত্ব।”
কথাসাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তাক গাউসুল হক (মোস্তাক শরীফ) বললেন, “আশির দশকের শুরুর দিকে পাঠ্যবইয়ের বাইরে যে কয়েকটা বই দিয়ে আমার গল্পের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে তারমধ্যে দস্যু বনহুর সিরিজ একটি। সে সময়ে এই সিরিজের বিপুল জনপ্রিয়তা। গোগ্রাসে পড়তাম। বই পড়া বা সংগ্রহ করার বিষয়টা ছিলো খুব মজার। দস্যু বনহুরের কিছু ভয়ঙ্কর রকমের ভক্ত ছিলেন। তারা এই বইগুলো কিনতেন এবং অন্যদের কাছে ভাড়া দিতেন। ৫০ পয়সা, এক টাকা, দুই টাকায় বই ভাড়া করে পড়তাম। দস্যু বনহুরের বৈশিষ্ট্য ছিলো একটা গল্প যেখানে শেষ হচ্ছে সেখানে আরেকটা পড়ার জন্য লেখক ক্লু রেখে দিতেন। তার ফলে পাঠক অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতো পরের খন্ডের জন্য। পাঠকের পাঠরুচি তৈরি করাতে লেখক এবং গ্রন্থাগারিক দুজনেরই ভুমিকা রয়েছে। একজন গ্রন্থাগার পেশাজীবি হিসেবে মনে করি, যে সব লেখক ও তাঁদের সৃষ্টিকর্ম বিস্মৃত হয়ে গেছে, তাদেরকে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করানোর ক্ষেত্রে আমাদের ভুমিকা আছে। বেশিরভাগ গ্রন্থাগারেই এখন রোমেনা আফাজের বই নেই অথচ একসময় তিনি ভীষণ জনপ্রিয় ছিলেন।”
কবি জাহিদুল হক বলেন, রোমেনা আফাজ আমাদের গোয়েন্দা ও রহস্যোপন্যাসের পাইওনিয়ারদের একজন। তিনি যখন সাহিত্য রচনা শুরু করেন তখন তাঁর নামটি ঘরে ঘরে পরিচিত ছিলো। পাঠক সৃষ্টিতে রোমেনা আফাজের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। তাঁর রচনাগুলো পূণর্মুদ্রণ হওয়া জরুরী। বেছে বেছে নির্বাচিত সাহিত্যগুলোও বড় বড় মুদ্রণ করা উচিত।
কথাসাহিত্যিক ঝর্না রহমান রোমেনা আফাজকে মূল্যায়ন করলেন এইভাবে, “প্রায় এক শতাব্দী আগে, যে সময়টাতে লেখালিখির ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বলতে গেলে হাতে গোনা, নারীর জন্য সমাজের শিল্প-সাহিত্য- পেশা সব অঙ্গনেই অজস্ররকম বাধা প্রতিবন্ধকতা বিদ্যমান, সে সময়ে জন্ম নেওয়া যে নারী লেখকের তুখোড় কলম এদেশের পাঠকসমাজকে এক রোমাঞ্চকর সাহিত্যের সন্ধান দিয়েছিলো, তিনি রোমেনা আফাজ। সত্তরের দশক থেকে পরবর্তী অর্ধ শতাব্দী জুড়ে রোমেনা আফাজ ‘দস্যু বনহুর’ বইয়ের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। বনহুর ছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটি উপন্যাস লিখেছিলেন। সামাজিক সমস্যা ও পারিবারিক জীবনের সুখদুঃখ আনন্দবেদনা, নরনারীর প্রেমবিরহ ইত্যাদি ছিলো সেসব উপন্যাসের বিষয়। তাঁর প্রায় প্রতিটি উপন্যাস নিয়েই চলচ্চিত্রও হয়েছে। কারণ তাঁর উপন্যাসে বাংলাদেশের যে অতি পরিচিত জনজীবন এবং এদেশের দীর্ঘকালীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আবহে মানুষের পারিবারিক জীবনের সুখদুখ হাসিকান্নার যে পরিচিত ছবি তা তিনি সহজ প্রাণবন্ত ভাষায় এঁকেছেন। কিন্তু তার পরেও সেসব উপন্যাস ছাড়িয়ে তিনি বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন মূলত তাঁর রহস্য রোমাঞ্চ উপন্যাস দস্যু বনহুরের জন্যই।
এ সিরিজগুলোতে নায়ক বনহুর যে কিনা রবিনহুডের মতই দুঃসাহসী, শক্তিশালী, নির্ভীক, দুর্জনের শত্রু আর গরিবের বন্ধু, যাঁর অসাধারণ জ্ঞান, বুদ্ধি, প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, অপরাধের উৎস অন্বেষণে অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা ও প্রতিভায় একের পর এক জয় করে চলে বাধার পাহাড়, ভয়ংকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় যার সাহস পাঠককে বিস্ময়ে অভিভূত করে তোলে, একজন নারী লেখকের হাতে নির্মিত এমন একটি পৌরুষদীপ্ত চৌকস চরিত্রের সাক্ষাৎ পেয়ে বাংলার পাঠকসমাজ অভিভূত হয়েছিল। রোমেনা আফাজ বনহুরকে দস্যুতার ওপরে প্রেম আর মানবতার আলোয় স্থাপন করেছিলেন। ফলে বাংলার পাঠক এই নায়ককে খুব ভালোবাসতো। তার প্রতিটি কর্মকাণ্ড পাঠকের মনকে উদ্বেলিত করতো। তা ছাড়া রহস্য ও রোমাঞ্চকর উপন্যাসের মূল বিষয় যেটি, কাহিনিকে ক্রমশ সমস্যা আর রহস্যের জটিল জটাজালের ভেতরে নিয়ে এসে আস্তে আস্তে তার গ্রন্থিগুলো ছাড়িয়ে নেয়া। লেখকের মেধাবী চিন্তা আর কল্পনাশক্তি না থাকলে তা সম্ভব নয়। রোমেনা আফাজ সেই কল্পনাশক্তিতে সমৃদ্ধ ছিলেন। তাঁর ভাষায় সাহিত্যের ওজস্বি দীপ্তি হয়তো তেমন ছিল না কিন্তু একটি প্রবহমান স্বচ্ছন্দ গতিবেগ ছিলো যা পাঠককে তীব্রভাবে আবিষ্ট করে রাখতে পারতো। বর্তমান সময়ে এসে এ ব্যাপারটি বোধ হয় ঠিক বোঝা যাবে না। কিন্তু রোমেনা আফাজকে যাচাই করতে হবে তাঁর সময়ের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে। সে সময়ের তিনি একজন সমৃদ্ধ কল্পনা, তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও আখ্যান নির্মাণে দক্ষতাসম্পন্ন লেখক।”
কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক মোজাফফর হোসেন বলেন, “তখনও রবিনহুডের নাম শুনিনি। মাসুদ রানার নামও শুনেছি পরে। কিন্তু জেনেছি আমাদের ‘দস্যু বনহুর’-এর কথা। সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক হিসেবে আমরা পাই তাকে। শৈশবে প্রত্যেকে দস্যু বনহুরকে ভালোবেসে ফেলি। আরেকটু বড়ো হয়ে জানতে পারি এই ‘দস্যু বনহুর’-এর স্রষ্টার কথা। রোমেনা আফাজ পঞ্চাশের দশকে বাংলাদেশের সাহিত্যে নতুন ধারার সূচনা করেন। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বাংলাদেশে তখন রহস্য ও থ্রিলার লেখক ছিল না বললেই চলে। রোমেনা আফাজ এই জনপ্রিয় সাহিত্যের জনক বাংলাদেশের প্রথম সফল এবং মৌলিক লেখক। এবং তিনিই সম্ভবত এই ধারার সাহিত্য থেকে ২০টির বেশি পুরস্কারসহ স্বাধীনতা পুরস্কার অর্জন করেছেন। তাই বাংলাদেশের সাহিত্যে রোমেনা আফাজ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি নাম। টানা কয়েকটি প্রজন্মের কাছে তুমুল জনপ্রিয় লেখক ছিলেন তিনি। তাঁর সাহিত্যের আবেদন এখনো কমে যায়নি। আমার ধারণা, নতুনভাবে মানসম্মত প্রকাশনার মধ্য দিয়ে রোমেনা আফাজের বইগুলো এই সময়ের পাঠকদের সামনে তুলে ধরতে পারলে, তিনি সমানভাবে পঠিত হবেন।”
১৯২৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর বগুড়া জেলার শেরপুর শহরে রোমেনা আফাজের জন্ম। বাবা কাজেম উদ্দীন আহম্মদ ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক। কাজের সূত্রে তাকে অবিভক্ত ভারতের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হতো। ফলে তিনিও বাবার সঙ্গে বাংলাদেশ ছাড়াও দিল্লি, আগ্রা, হুগলি, কলকাতা, লক্ষ্মৌ, মেদিনীপুর প্রভৃতি স্থান ঘুরেছেন। বাবার মুখে অপরাধ ও অপরাধীর রোমহর্ষক কথা শুনে এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে প্রভাবিত হয়ে রহস্যপোন্যাস লিখতে অনুপ্রাণিত হন। বগুড়া জেলার সদর থানার ফুলকোট গ্রামের চিকিৎসক মো. আফাজ উল্লাহ সরকারের সঙ্গে মাত্র ১৩ বছর বয়সে তার বিয়ে হয় । বিয়ের পরও তিনি লেখালেখি চালিয়ে যান। নয়জন সন্তানের মা রোমেনা আফাজ ঘর-সংসার, সন্তান ও সামাজিকতা সামলেও লিখেছেন। এই প্রতিভাময়ী লেখিকা একজন সক্রিয় সমাজসেবীও ছিলেন। ৩৭টি সমাজসেবামূলক সংগঠনের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। তারমধ্যে জাতীয় মহিলা সংস্থা, বগুড়ার সাবেক চেয়ারম্যান; ঠেংগামারা মহিলা সবুজ সংঘ, বগুড়ার আজীবন উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক; বাংলাদেশ মহিলা জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা, বগুড়ার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান; উদীচী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, বাংলাদেশ রেডক্রস সমিতি, শিশু একাডেমী, বাংলাদেশ রাইটার্স ফোরাম, বগুড়ার সাবেক উপদেষ্টা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য৷
জনপ্রিয় এই লেখিকা ২০০৩ সালের ১২ জুন মারা যান। মৃত্যুর ৭ বছর পর ২০১০ সালে তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার পান। এছাড়াও রোমেনা আফাজ ২৭টি পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। রোমেনা আফাজের বাড়ির সামনের রাস্তা তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। তাঁর ছেলে মন্তেজুর রহমান আঞ্জু পারিবারিক উদ্যোগে বগুড়াতে গড়ে তুলেছেন ‘রোমেনা আফাজ স্মৃতি ঘর’।