ইউক্রেন সংকট হাইতিতে খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে

ছবিতে বেলে আনসের একজন বাসিন্দা হাইতির বাজার থেকে বাড়ি ফিরছেন৷ গত বছরের খরা সেখানে প্রধান ফসল ধ্বংস করেছে, তারপরে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় আইজ্যাক এবং হারিকেন স্যান্ডির কারনে সেখানে বন্যা হয়েছে। ২৩ মে, ২০১৩,ছবি-এপি / ডিউ নালিও চেরি

ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম অর্থাত্ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী সতর্ক করে দিযেছে হাইতিতে ক্ষুধার্তের সংখ্যা বাড়তে পারে কারণ ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে আমদানি করা গমের দাম বেড়েছে।

হাইতিতে জাতিসংঘের একটি সাম্প্রতিক খাদ্য মূল্যায়ন অনুযায়ী জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ বা ৪৫ লক্ষ মানুষ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন, ১৫ লক্ষ মানুষের জরুরি সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ক্রমাগত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং বিপর্যয়ের পূনরাবৃত্তির কারণে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। এর মধ্যে রয়েছে গত আগস্টের বিধ্বংসী ভূমিকম্প, যার কারণে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে, এবং যা প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করেছে।

উপরন্তু, ডব্লিউএফপি বলেছে গত বছর গড় বৃষ্টিপাত কম হবার ফলে ফলন খারাপ হয়েছে, এবং উত্তর হাইতির মানুষ এখনও জানুয়ারির শেষের দিকের প্রবল বন্যার পর থেকে ভুগছে।

হাইতিতে ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর পিয়েরে হোনোরাত বলেছেন, তার সংস্থা আশঙ্কা করছে ইউক্রেনের যুদ্ধ হাইতিতে খাবারের দাম বাড়িয়ে দেবে এবং ক্ষুধার্ত মানুষরে সংখ্যা বাড়িয়ে দেবে। রাজধানী, পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে কথা বলতে গিয়ে, তিনি উল্লেখ করেন যে হাইতি তার খাদ্যের প্রায় ৭০ শতাংশ আমদানি করে। তিনি বলেছেন গম মূলত রাশিয়া এবং কানাডা থেকে আমদানি করা হয়, উল্লেখ্য যে গমের আটা প্রতিদিন হাইতিয়ানদের জন্য রুটি বানাতে ব্যবহৃত হয়।

পিয়েরে হোনোরাত আরো বলেছেন, “এটি প্রত্যেক হাইতিয়ানের দিনের প্রথম খাবার। সুতরাং, যদি গমের-আটার দাম বাড়তে থাকে তবে আপনি সমস্যা দেখতে পাবেন। এবং দাম ইতোমধ্যে দুই বছরে পাঁচ গুণ বেড়েছে। সুতরাং, দেখা যাচ্ছে এটি আরো কয়েকগুন বাড়বে এবং এটি একটি বড় সমস্যা।"