সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ের চুক্তির তত্ত্বাবধানের বিষয়ে শনিবার নতুন একটি নিয়মে স্বাক্ষর করেছে চীন। চীনের সরকারী বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, এটি দেশটির সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নের দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টার একটি অংশ।
চীন ২০৩৫ সালের মধ্যে তার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণ সম্পূর্ণ করার এবং পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) কে শতাব্দীর মাঝামাঝি নাগাদ একটি বিশ্বমানের সামরিক বাহিনীতে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট এবং সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে থাকা কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান শি জিনপিং, সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে, অস্ত্র ও সরঞ্জামের মূল্যায়ন, সংগ্রহ এবং সেগুলো পরীক্ষা করার জন্য ক্রমাগত নতুন নিয়ম ও প্রবিধানের জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন।
নির্দিষ্ট বিবরণ না দিয়ে সিনহুয়া বলেছে, সর্বসাম্প্রতিক নিয়মগুলির লক্ষ্য হল সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ের চুক্তির তত্ত্বাবধানে দক্ষতা উন্নত করা এবং সেনাবাহিনীকে ভাল মানের সরঞ্জাম সরবরাহ করার বিষয়টি নিশ্চিত করা।
আগামী ২০ মার্চ থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে শি’র একটি ভিডিও কলে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করার একদিন পরই চীনের তরফ থেকে এই ঘোষণাটি এলো।
পিএলএ’র জন্য গত বছরের অক্টোবরে, শি সামরিক সরঞ্জাম এবং অস্ত্র উন্নয়নে একটি নতুনত্ব নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
চীন নিয়মিতভাবে দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চালায়, যার একটি বড় অংশকে তারা নিজেদের বলে দাবি করে। দেশটি কখনও কখনও স্ব-শাসিত তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলেও সামরিক বিমান মোতায়েন করে, ওই অঞ্চলকেও চীন তার নিজস্ব এলাকা বলে দাবি করে।
শুক্রবার চীন তার বিমানবাহী রণতরী শানডংকে স্পর্শকাতর তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে নিয়ে যায় বলে একটি সূত্র এর আগেই রয়টার্সকে জানিয়েছিল।
ভারতের সঙ্গেও চীনের দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ রয়েছে। চীন, যারা একটি জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি অনুসরণ করার কথা বলে , চলতি বছর প্রতিরক্ষা খাতে ৭.১% বেশি ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছে, যা গত বছরের বৃদ্ধিকে ছাড়িয়ে গেছে।