বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত আরমান ওরফে মনিরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং কবির হোসেনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় দেন।
একই সঙ্গে দুই অভিযুক্তকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত। তবে এই মামলায় অন্য ছয় অভিযুক্তকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার আট অভিযুক্তের সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।
২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে হোসেনি দালান এলাকায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে জেএমবির জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়। এতে দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
এ ঘটনায় রাজধানী ঢাকার চকবাজার থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। প্রথমে মামলাটি চকবাজার থানা পুলিশ তদন্ত করে। পরে এর তদন্তভার ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।
মামলাটি তদন্ত শেষে ডিবির দক্ষিণের পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ১০ জঙ্গিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠান। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর ওই বছরের অক্টোবরে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০১৭ সালের ৩১ মে আদালত ১০ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এরপর মামলাটি ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়। ওই আদালতে মামলার বাদী মো. জালাল উদ্দিন সাক্ষ্য দেন।
এরপর ২০১৮ সালের ১৪ মে মামলাটি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলি হয়। অভিযোগপত্রে ১০ অভিযুক্তের মধ্যে জাহিদ হাসান ও মাসুদ রানার মামলা বর্তমানে শিশু আদালতে বিচারাধীন।
বাকি অভিযুক্তরা হলেন-ওমর ফারুক মানিক, হাফেজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ, শাহজালাল মিয়া, চান মিয়া, কবির হোসাইন ওরফে রাশেদ ওরফে আশিক, রুবেল ইসলাম ওরফে সজীব, আবু সাঈদ রাসেল ওরফে সোলায়মান ওরফে সালমান ওরফে সায়মন, আরমান ওরফে মনির ওরফে রুবেল ইসলাম ওরফে সজীব ওরফে সুমন।
অভিযুক্তদের মধ্যে আরমান, রুবেল ও কবির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলাটিতে ৩১ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।