রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য চীনের কাছে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তার অনুরোধ করেছে বলে রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়। তার কয়েক ঘন্টা আগেই হোয়াইট হাউজ বেইজিংকে সতর্ক করেছিল যে, রাশিয়াকে যদি তারা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সহায়তা করে তাহলে সেটির গুরুতর “পরিণতি” ভোগ করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানান যে, রাশিয়া তাদের এই গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দেশটি থেকে সামরিক সরঞ্জাম ও সমর্থনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলো কর্তৃক আরোপিত গুরুতর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধেও বেইজিংয়ের কাছে মস্কো অর্থনৈতিক সহায়তার অনুরোধ করেছে বলে অজ্ঞাতপরিচয় কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে।
তবে ঐ কর্মকর্তারা রাশিয়া নির্দিষ্টভাবে কিসের অনুরোধ করেছে বা চীন তাতে সাড়া দিয়েছে কিনা, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান বলে, প্রতিবেদনগুলোতে উল্লেখ করা হয়।
ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাসের একজন মুখপাত্রকে কথিত অনুরোধগুলো সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, তিনি একাধিক সংবাদ সংস্থাকে বলেন যে, “আমি এমন কিছু কখনও শুনিনি”।
যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ একটি প্রতিনিধিদল সোমবার রোমে চীনের কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করবে - হোয়াইট হাউজ থেকে এমন ঘোষণা আসার মাত্র কয়েক ঘন্টা পরই প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, জেক সালিভান রবিবার কয়েকটি টক শো’তে উপস্থিত হয়ে জানান যে, শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞাগুলো এড়াতে সহায়তা করার জন্য চীন রাশিয়াকে কোন সরঞ্জাম বা অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করে কিনা, সে বিষয়টি হোয়াইট হাউজ “নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ” করছে।
সিএনএন-এর “স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন” অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এটি আমাদের একটি উদ্বেগের বিষয়, এবং আমরা বেইজিংকে জানিয়েছি যে, আমরা অপেক্ষা করব না এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলোর কারণে রাশিয়ার ক্ষতিটি পূরণ করে দিতে কোন দেশকেই সুযোগ দিব না”।
মস্কোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিন্দা সত্ত্বেও বেইজিং গত সপ্তাহে জানায় যে, রাশিয়ার সাথে তাদের বন্ধুত্ব “অত্যন্ত মজবুত” অবস্থায় রয়েছে। তারা যুদ্ধটির অবসানে মধ্যস্থতা করার জন্যও তাদের প্রস্তুতির বিষয়টি প্রকাশ করে।