ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কথা উল্লেখে করে , সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন বৃহস্পতিবার বলেছেন যে দেশের সামরিক ব্যয় যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানো দরকার এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটিকে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ শতাংশে উন্নীত করার চেষ্টা করছে।
স্টকহোমে পরিকল্পনা সম্পর্কে সংবাদদাতাদের সাথে কথা বলার সময়, অ্যান্ডারসন বলেন, তার সরকার সুইডিশ জনগণ এবং বিশ্বের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা তুলে ধরছে যে দেশটির প্রতিরক্ষা সক্ষমতা "অত্যন্ত শক্তিশালী করতে হবে।"
তিনি বলেন, "সুইডেনের আশেপাশে" নিরাপত্তা পরিস্থিতি সময়ের সাথে সাথে খারাপ হয়েছে এবং ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণের কারণে তার আরও অবনতি ঘটেছে।
একই সংবাদ সম্মেলনে, সুইডিশ অর্থমন্ত্রী মিকেল ডামবার্গ বলেছেন, সুইডেনের বর্তমান সামরিক বাজেট প্রায় ৭১৮ কোটি ডলার , যা দেশের জিডিপির প্রায় ১.৩ শতাংশ। অ্যান্ডারসন ২ শতাংশ স্তরে পৌঁছানোর জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেননি। তবে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি এই দশকের মধ্যে এটি করতে চান।
অ্যান্ডারসন বলেন, প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির অর্থ হল তরুণদের সামরিক কাজ করার জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত।
২ শতাংশের একই লক্ষ্য নেটো সদস্য হওয়ার জন্য প্রয়োজন, যদিও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে অনেক সদস্য দেশ সে লক্ষ্যমাত্রা থেকে দূরে রয়েছে।
নেটোর সদস্য না হলেও, ঐ জোটের সাথে সুইডেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা রয়েছে এবং প্রতিবেশী ডেনমার্ক একটি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
স্নায়ুযুদ্ধের সময়, সুইডেন তার মোট দেশজ উৎপাদনের ৪ শতাংশ পর্যন্ত প্রতিরক্ষা বাজেটে উৎসর্গ করেছিল। কিন্তু ১৯৯০ এবং ২০০০-এর দশকের শুরুতে এই খাতে তার ব্যয় প্রায় এক শতাংশে কমিয়ে আনে। ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রাইমিয়াকে অধিগ্রহণ করার পরে এটি পরিবর্তন হতে শুরু করে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ জার্মানি এবং ডেনমার্ক সহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশকে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে উত্সাহিত করেছে।
[এই প্রতিবেদনের জন্য কিছু তথ্য রয়টার্স এবং এএফপি সরবরাহ করেছে।]