খাবারের দাম বৃদ্ধিতে ইরাকের দক্ষিণে দরিদ্র অঞ্চলে বুধবার বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির জন্য কর্মকর্তারা ইউক্রেনের সংঘাতকে দায়ী করছেন।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে স্থানীয় বাজারে রান্নার তেল এবং ময়দার দাম আকাশচুম্বী। সরকারি কর্মকর্তারা বিভিন্ন বিবৃতি এবং ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের জবাব দেওয়ার "চেষ্টা" করছেন।
৫০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নাসিরিয়ার একটি কেন্দ্রীয় চত্বরে জড়ো হয়েছিল। চত্বরটি দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের একটি কেন্দ্র যা ২০১৯ সালে পুরো দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল।
মঙ্গলবার ইরাকি সরকার আন্তর্জাতিক মূল্য বৃদ্ধি মোকাবিলায় ব্যবস্থা ঘোষণা করেছে।
এর মধ্যে দশ লাখ দিনার (প্রায় ৭০০ ডলার)-এর কম আয় যাদের তেমন পেনশনভোগীদের জন্য প্রায় ৭০ ডলারের মাসিক ভাতা এবং ৫ লাখ দিনারের কম উপার্জনকারী বেসামরিক কর্মচারীদের জন্যও ভাতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ খাদ্যপণ্য, মৌলিক ভোগ্যপণ্য এবং নির্মাণ সামগ্রীর ওপর দুই মাসের জন্য শুল্ক স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র মোহাম্মদ হানুন ইউক্রেনের সংঘাতকে রান্নার তেলের দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী করেছেন।
মঙ্গলবার মধ্যাঞ্চলীয় বাবিল প্রদেশে এক বিক্ষোভে একজন প্রতিবাদকারি গুরুতর আহত হয়েছেন । সহিংসতার কারণে ঐ বিক্ষোভ বিনষ্ট হয় বলে একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে।
রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ই সূর্যমুখী তেল এবং গমসহ খাদ্যদ্রব্যের প্রধান উৎপাদক। দেশ দুটি থেকে আমদানির ওপর মধ্যপ্রাচ্য বিশেষভাবে নির্ভরশীল।
২০১৯ সালে ব্যাপক দুর্নীতি, কাজের সুযোগের অভাব এবং দরিদ্র জীবনযাত্রার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভে ইরাক কেঁপে ওঠে।
বিক্ষোভের সময় ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং কয়েক হাজার আহত হয়।