ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) সফলভাবে ইরানের দ্বিতীয় সামরিক উপগ্রহ, নূর ২ কক্ষপথে স্থাপন করেছে বলে মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচী নিয়ন্ত্রণে একটি চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার উদ্দেশ্যে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে, এমন সময়ে এই ঘোষণা এলো।
মহাকাশে ৫০০ কিলোমিটার (৩১১ মাইল) উচ্চতায় নূর-২ প্রদক্ষিণ করছে। মহাকাশে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট স্থাপন ইরানের সামরিক বাহিনীর জন্য একটি বড় অগ্রগতি, যা দেশটির পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার রেভোলিউশনারি গার্ডস এরোস্পেস ফোর্সের স্পেস কমান্ডার আলী জাফরাবাদি বলেছেন, সামনের বছরগুলোতে ইরান কক্ষপথে একাধিক সামরিক উপগ্রহ পাঠাবে। আধা-সরকারি ফারস বার্তা সংস্থা এ খবর জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী বলেছে, যে স্যাটেলাইটগুলোকে কক্ষপথে স্থাপন করতে যে ধরনের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় সে প্রযুক্তিই তেহরানকে পারমাণবিক ওয়ারহেডসহ দূরপাল্লার অস্ত্র নিক্ষেপে ব্যবহৃত হতে পারে।
এই ধরনের কার্যকলাপ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের জন্য একটি আবরণ মাত্র- যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবি অস্বীকার করে তেহরান বলেছে যে, তারা কখনও পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশের চেষ্টা করেনি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ডিসেম্বরে রকেট প্রয়োজনীয় গতিতে পৌঁছতে না পারার পর ইরানের মহাকাশ উৎক্ষেপণ তার তিনটি পেলোড কক্ষপথে রাখতে ব্যর্থ হয়েছিল।
ইরানের এই উৎক্ষেপণ প্রচেষ্টার সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং ফ্রান্স।
২০১৯ সালে ইরানের বেসামরিক মহাকাশ সংস্থা এবং দুটি গবেষণা সংস্থার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল যে গবেষণা সংস্থা দুটি তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে এগিয়ে নিতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইরানের মহাকাশ সংক্রান্ত কার্যকলাপ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের একটি আবরণ- এমন অভিযোগ তেহরান অস্বীকার করে।