ঘানার ছাত্ররা বলছেন তারা ইউক্রেন থেকে পালাবার সময় বৈষম্যের শিকার হন

পূর্বাঞ্চলীয় পোল্যান্ডের একটি অস্থায়ী আশ্রয়স্থলে আফ্রিকার ছাত্ররা দেশে ফেরার অপেক্ষায় ২৮শে মার্চ, ২০২২/এএফপি

জ্যানেট ও ঘানার কয়েকজন ছাত্রছাত্রীর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে লভিভ পৌঁছাতে
দুদিন লেগেছে। তৃতীয় বর্ষের প্রকৌশলী ঐ ছাত্র জানালো তারা সীমান্ত ক্রসিংয়ে আরো ১৩ ঘন্টা অতিবাহিত করে।

গত সপ্তাহে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন জুড়ে ভ্রমণের সময় তার মাস্ক পড়া মুখটিও তার দুশ্চিন্তা বা ভয়ভীতি লুকিয়ে রাখতে পারে নি। পারে নি লভিভ রেলওয়ে স্টেশনে যখন শ্বেতাঙ্গ মহিলা বা তাদের ছেলেমেয়েদের থেকে আলাদা রাখার পর তার বিস্ময় ও যন্ত্রণা ঢাকতে, কিংবা যখন পোল্যান্ডগামী ট্রেনে উঠতে তাকে বাধা দেয়া হয় তখন।

ভিওএ শুক্রবার বুদাপেস্ট, হাঙ্গেরি পৌঁছানোর পর আধ ডজন ঘানার ছাত্রের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। এছাড়াও লভিভ ও স্লোভাকিয়ার সীমান্তবর্তী উজ্যারড শহরে ঘানা ও নাইজেরিয়ার আরো ডজনখানেক ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে। ৪ জন ছাত্র জানায় খারকিভ, সুমি বা কিয়েভ থেকে পশ্চিমমুখী বিশৃঙ্খল যাত্রায় তাদের প্রতি কোনো বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয় নি, যে শহরগুলিতে এরা মূলত চিকিৎসা ও প্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনা করছেন।

তবে অন্যরা জানায় বর্ণবাদের কারণে তাদের যাত্রা ছিল বিপদসংকুল; যদিও অকপটে তারা স্বীকার করে যে ইউক্রেনকে তারা তাদের দ্বিতীয় বাসস্থান বলে ভাবে এবং তাদের প্রতি সদাচার করা হয়েছে বলে জানায়।

গত সপ্তাহে বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের ট্রেনে বা বাসে উঠতে বাধা দেয়া হচ্ছে খবর পেয়ে ইউক্রেন সরকার আফ্রিকা ও অন্যান্য বিদেশী ছাত্রছাত্রী যারা দেশ থেকে পালাতে চেয়েছে তাদের জন্য বিশেষ হটলাইনের ব্যবস্থা করে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার, ফিলিপো গ্রান্ডি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, "অবশ্যই কোনো অবস্থাতে ইউক্রেনের জনগণ এবং ইউক্রেনের জনগণ নন, ইউরোপিয়ান বা ইউরোপিয়ান নন এমন কোনো বৈষম্য করা যাবে না।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, দিমিত্র কুলেবা টুইটার মারফত জোর দিয়ে জানান, সবার প্রতি অবশ্যই সমান আচরণ করতে হবে। "ইউক্রেনে রুশ অভিযান ধ্বংসাত্মকভাবে ইউক্রেনের জনগণ তথা যারা ইউক্রেনের নাগরিক নন তাদের প্রভাবিত করেছে। যেসব আফ্রিকান সরে যেতে চেষ্টা করছে, তারা আমাদের বন্ধু এবং তাদের নিরাপদে দেশে ফিরে যাওয়ার সমান অধিকার রয়েছে। ইউক্রেন সরকার তাদের সমস্যা সমাধানে কোনো প্রয়াস নেয়া থেকে বিরত থাকবে না"।