কোভিড বিধি শিথিল করে অবশেষে সীমান্ত খুলেছে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া

যাত্রীরা অস্ট্রেলিয়ার পার্থ এ অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন। ৩ মার্চ ২০২২।

প্রায় দুই বছর পর পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া দেশের সবচেয়ে কঠোর কোভিড সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ তুলে নিয়েছে। দুই ডোজ টিকাযুক্ত আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ ভ্রমণকারীদের এখন প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে,কারণ রাজ্যটি বাকি বিশ্বের সাথে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করেছে।

প্রায় ৭০০ দিনের জন্য পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া বাকি দেশ এবং বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল।

বেশিরভাগ বিদেশী অতিথিদের নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কারণ যুক্তরাজ্যের চেয়ে দশ গুণ বড় অস্ট্রেলিয়ার এই বৃহত্তম রাজ্য মহামারী থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেছিল।

রাজ্যের প্রিমিয়ার, মার্ক ম্যাকগোয়ান বলেছেন যে কঠোর নীতি "অপ্রয়োজনীয় মৃত্যু এড়াতে পেরেছে", তবে বিচ্ছিন্ন থাকা পরিবারগুলোর কষ্ট ও ব্যবসার ক্ষতির কথা তিনি স্বীকার করেছেন।

এসব কঠোর পদক্ষেপগুলো সংক্রমণকে কম রাখলেও ওমিক্রনের সাম্প্রতিক বৃদ্ধি কমাতে পারেনি।

বুধবার মোট ১৭৭০ টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটি নতুন রেকর্ড হলেও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে।

টিকা নেয়ার উপযুক্ত জনসংখ্যার প্রায় ৯৯ শতাংশকে ডাবল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জোর দিয়ে বলেছে যে সীমান্ত বিধিনিষেধ উঠিয়ে নেয়ার এটিই সঠিক সময়।

অস্ট্রেলিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া) সভাপতি ডাঃ মার্ক ডানকান-স্মিথ অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে বলেছেন যে, কঠিন সীমান্ত কৌশল কাজ করেছে বলে মনে হচ্ছে।

সিডনি এবং মেলবোর্ন থেকে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া রাজ্যের রাজধানী পার্থে প্রথম ফ্লাইটে যাত্রীদেরকে খেলনা কোক্কাস উপহার দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। ছোট ঐ স্তন্যপায়ী প্রাণীকে "পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী প্রাণী" বলা হয়।

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পর্যটন কর্মকর্তারা বলেছেন যে রাজ্যে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণ পুনরায় চালু করা শিল্পে "আনন্দ" নিয়ে আসবে।

মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ২৯ লাখ করোনভাইরাস সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে। ৫,২০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে।