ইউক্রেন অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও সে দেশ থেকে রুশ বাহিনীর প্রত্যাহার দাবি করেছে। সোমবার ইউক্রেনের একটি প্রতিনিধিদল রাশিয়ার সাথে আলোচনার জন্য গিয়ে পৌঁছায়। একই সময়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) তার দেশকে তাৎক্ষণিকভাবে সদস্যপদ প্রদানের কথা বলেন।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার আলোচনাটি ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলেন্সকির দফতর জানিয়েছে যে, আলোচনাটিতে ইউক্রেনের পক্ষে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ ও প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
জেলেন্সকি একটি ভিডিও বার্তায় দ্রুত ইইউ-এ যোগদানের আবেদন করেন। ভিডিওটিতে তিনি রাশিয়ার সৈন্যদের অস্ত্র সমর্পণ করতেও উৎসাহিত করেন।
নেটো মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বলেন যে, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাথে টেলিফোনে আলাপ করেছেন এবং “তাকে ইউক্রেনের জনগণ ও সামরিক বাহিনীর সাহসিকতার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন”।
স্টলটেনবার্গ একটি টুইট বার্তায় লেখেন, “আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্রসহ মানবিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে নেটো মিত্ররা তাদের সমর্থন বৃদ্ধি করছে।”
আক্রমণের পঞ্চম দিন, সোমবার, রাশিয়া বর্ধিত কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপের সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অনুষ্ঠিতব্য জরুরী অধিবেশন, রাশিয়ার মুদ্রার মূল্যমানের রেকর্ড পরিমাণ পতন এবং দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ।
সোমবারের নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে, ব্রিটেন ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানসমূহকে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রক ও সম্পদ তহবিলের সাথে লেনদেনে নিষেধ করেছে। এছাড়াও সিঙ্গাপুর কিছু নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যে ব্যাংক লেনদেন ও রফতানি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনে জঙ্গীবিমান পাঠানোর খবর জানানোর এক দিন পরই, সোমবার অস্ট্রেলিয়া মারণাত্মক সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের অঙ্গীকার করেছে।
হোয়াইট হাউজ জানায় যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার একাধিক মিত্রের সাথে একটি ফোনালাপ করবেন, যেখানে ইউক্রেনের সর্বসাম্প্রতিক পরিস্থিতি “এবং আমাদের যৌথ প্রতিক্রিয়া” বিষয়ে আলোচনা করা হবে।