যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের অবিলম্বে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে করে রাশিয়া ত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিৎ বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রক রবিবার জানিয়েছে। এর কারণ হিসেবে, ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক এয়ারলাইন্সের নিজেদের ফ্লাইট বাতিল ও রাশিয়া থেকে আগত বিমানের জন্য বিভিন্ন দেশের নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়াকে উল্লেখ করা হয়েছে।
মস্কোতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ওয়েবসাইটে, ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখের একটি নিরাপত্তা সতর্কতায় বলা হয়েছে, “এখনও পর্যন্ত চালু থাকা বাণিজ্যিক পন্থাগুলো কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের অবিলম্বে রাশিয়া ত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিৎ”।
সেটিতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের “যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সহায়তার উপর নির্ভরশীল নয়, সম্ভাব্য আকস্মিকতার জন্য এমন একটি বিকল্প পরিকল্পনা” করে রাখতে বলা হয়।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের ফলে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে প্রচুর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এটিই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে কোন ইউরোপীয় দেশের উপর বৃহত্তম আক্রমণ। ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় সরকারগুলো রাশিয়ার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আক্রমণটিকে একটি “বিশেষ অভিযান” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি রাশিয়ার দক্ষিণের এই প্রতিবেশী দেশটিকে বেসামরিকীকরণ করতে চান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রক রাশিয়াতে ভ্রমণ সতর্কতাকে “লেভেল চার: ভ্রমণ করবেন না” তে রেখেছে। ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখে মস্কোতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, রাশিয়াতে অবস্থিত আমেরিকানদের ঐ দেশ ত্যাগ করার একটি পরিকল্পনা করে রাখতে বলেছিল। সেটিতে কারণ হিসেবে, মস্কোতে ও ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার সীমান্তে আক্রমণের ঝুঁকির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল।