ইউটিউব শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন গণমাধ্যম আরটি এবং দেশটির অন্যান্য চ্যানেলের ইউটিউব বিজ্ঞাপন থেকে অর্থ আয় করা বন্ধ করে দিয়েছে। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর ফেসবুকও একই ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছিল।
“অস্বাভাবিক পরিস্থিতি” উদ্ধৃত করে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউটিউব জানায় যে, তারা “সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার সাথে সম্পর্কিত রাশিয়ার একাধিক চ্যানেলসহ বেশ কয়েকটি চ্যানেলের ইউটিউব থেকে আয় করার পথ স্থগিত করছে”। ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেওয়ার বিষয়টি বহুলাংশেই ইউটিউবের হাতেই থাকে।
ইউটিউবের মুখপাত্র ফারশাদ শাদালু বলেন যে, এই পদক্ষেপে প্রভাবিত চ্যানেলগুলোর ভিডিওগুলো রেকমেন্ডেশনেও কম করে দেখানো হবে। তিনি আরও যোগ করেন যে, “সরকারি একটি অনুরোধ” অনুযায়ী আরটি ও অন্যান্য আরও বেশ কয়েকটি চ্যানেল ইউক্রেনে আর দেখা যাবে না।
এর আগে শনিবার, ইউক্রেনের ডিজিটাল মন্ত্রী মিখাইলো ফেডোরফ টুইট করেন যে, “রাশিয়া টুয়েন্টিফোর, টিএএসএস, আরআইএ নভোস্তিসহ রাশিয়ার অপপ্রচারমূলক চ্যানেলগুলো বন্ধ করার বিষয়ে” তিনি ইউটিউবের সাথে যোগাযোগ করেছেন।
মন্তব্যের অনুরোধে আরটি তাৎক্ষণিকভাবে কোন সাড়া দেয়নি। প্রচার সীমিত করা অন্যান্য চ্যানেলগুলোর নাম প্রকাশ করেনি ইউটিউব।
রাশিয়া সমর্থিত ২৬টি চ্যানেল থেকে দেশটি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়া দুই বছর মেয়াদে, আনুমানিক ৭০ লক্ষ থেকে ৩ কোটি ২০ লক্ষ ডলার পর্যন্ত আয় করেছে বলে, ডিজিটাল গবেষক ওমেলাস সে সময়ে রয়টার্সকে জানিয়েছিল।
ফেসবুকের মালিকানায় থাকা প্রতিষ্ঠান মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকরপোরেটেড, শুক্রবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে, কোম্পানীটির পরিষেবা ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন চালানো বা বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকেই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করা বন্ধ করে দেয়।