পারমাণবিক চুক্তি পুনরুদ্ধারে খসড়া চুক্তি খতিয়ে দেখছে ইরান

ইরানের জাতীয় জ্বালানি দিবসে তেহরানে বেশ কিছু নিউ জেনারেশন সেন্ট্রিফিউজ প্রদর্শন করা হয়।(ফাইল ছবি- ইরানীয়ান প্রেসিডেন্সি অফিস/ ওয়েস্ট এশিয়া নিউজ এজেন্সি/ রয়টার্স)

ভিয়েনা আলোচনায় শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে প্রস্তাবিত চুক্তির একটি মোটামুটি খসড়া খতিয়ে দেখছে ইরান। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারী সব পক্ষই বলেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রকে আবার চুক্তিতে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা একটি জটিল পর্যায়ে রয়েছে এবং ইরানের প্রধান আলোচক আলী বাঘেরি পরামর্শের জন্য তেহরানে ফিরে এসেছেন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে দেশটির নাম প্রত্যাহার করেন।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান টুইটারে বলেছেন, ইরান “গভীরভাবে চুক্তির খসড়াটি পর্যালোচনা করছে।” তিনি আরও বলেন, তার সঙ্গে ইওরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেলের ফোনে কথা হয়েছে।

তেহরান এবং ২০১৫ চুক্তির বাকি পক্ষগুলোর মধ্যে মুখোমুখি এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতে ইইউ ইরানের কূটনীতিক ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে।

আমির-আব্দুল্লাহিয়ান যোগ করেছেন, “আমরা সবাই একটি কার্যকরি চুক্তি সম্পাদনের চেষ্টা করছি”। “আমাদের সীমাবদ্ধতাগুলোও পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে স্পষ্ট করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি কার্যকরি চুক্তি সম্পন্ন হবে, অবশ্য যদি তারা চায়”।

যৌথ ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা বা জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন নামে পরিচিত ২০১৫ সালের এই চুক্তিটি ইরানকে পারমাণবিক কার্যকলাপ সীমিত করার বিনিময়ে দেশটির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি দিয়েছে।

২০১৮ সালে ট্রাম্প পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে, ইরান ধীরে ধীরে চুক্তির অধীনে পূর্বে সম্মত হওয়া অনেক বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করতে শুরু করে। এখনকার চুক্তিটি পুনর্জীবিত হলে, ইরান আবারও বিধিনিষেধ মেনে পরমাণু কার্যক্রম সীমিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বুধবার বলেছেন যে, আলোচনা “একটি জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে” পৌঁছেছে।

তিনি বলেন যে, তিনি আশা করেন অবশিষ্ট “সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো” আগামী দিনে “পশ্চিমা মিত্রদের পক্ষ থেকে বাস্তবধর্মী উপায়ে” সমাধান করা হবে।