যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার কতিপয় সোমালি কর্মকর্তা ও অন্যান্য কয়েকজনের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে সোমালিয়ায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে খর্ব করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, শুক্রবার যে সংসদীয় নির্বাচন শেষ হওয়ার ছিল, সোমালিয়া তা ১৫ই মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে নেয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র দফতরের জারি করা বিবৃতিতে ব্লিংকেন বলেন, "কতিপয় সোমালি কর্মকর্তা ও সহযোগীদের বাধা প্রদান সম্পর্কিত কর্মকান্ডের জবাবদিহিতা সমুন্নত রাখতে আমরা এখন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি"।
সোমালিয়ায় কোনো কেন্দ্রীয় সরকার ৩০ বছর ধরে কর্তৃত্ব ধরে রাখে নি, যেখানে প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহি মোহামেদ এবং প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ হুসেইন রুবেলের ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘায়িত হয়েছে নির্বাচনী প্রক্রিয়া।
নভেম্বরে সংসদীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা ছিল পরোক্ষ এক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে গোত্রের বয়োজ্যেষ্ঠরা সংসদের নিম্ন কক্ষের ২৭৫জন সদস্য বেছে নেন, তারপর তারা এখনো নির্ধারিত হয় নি এমন তারিখে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন।
জাতিসংঘের কোঅর্ডিনেশন অফ হিউমান অ্যাফেয়ার্স দপ্তরের তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী সোমালিয়ায় ৪৩ লক্ষ জনগণ খরার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং যার ফলে ২, ৭১,০০০ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
আল কায়দা সংশ্লিষ্ট আল শাবাব গ্ৰুপটি রাজধানী মোগাদিসু ও অন্যান্য এলাকায় প্রায়শই বন্দুক ও বোমা হামলা চালিয়ে থাকে। এই সব হামলাও নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বাসভর্তি নির্বাচনী প্রতিনিধিদের লক্ষ্যবস্তু করে, যে হামলায় মোগাদিসুতে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়। তবে প্রতিনিধিরা অক্ষত ছিলেন।
[রয়টার্স]