ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল (ফিফা)জিম্বাবুয়ে এবং কেনিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনগুলোতে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে দেশ দুটির সদস্যপদ স্থগিত করেছে।
জিম্বাবুয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে তারা দুর্নীতি, অযোগ্যতা এবং যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কাজ করছে। জিম্বাবুয়ের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে। কিন্তু ফিফা বলেছে সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়াই বিষয়গুলোর তদন্ত করা উচিত।
২৪ ফেব্রুয়ারি ফিফা সভাপতি জিওভান্নি ইনফান্তিনো ফুটবল পরিচালনা কমিটির ওয়েবসাইটে সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্থগিতাদেশের ঘোষণা দেন।
কেনিয়া ও জিম্বাবুয়ের সরকার তাদের ফুটবল এসোসিয়েশনের নেতাদের একঘরে করে ফেললে ফিফা দেশ দুটির এসোসিয়েশন স্থগিত ঘোষণা করে।
নভেম্বরে কেনিয়া, ফুটবল কেনিয়া ফেডারেশনের স্থলাভষিক্ত করে একটি তত্ত্বাবধায়ক কমিটি গঠন করে। এদিকে জিম্বাবুয়ের স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমিশন (এসআরসি) জিম্বাবুয়ে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (জিআইএফএ) নিয়ন্ত্রণ নেয়।
ফিফা বলেছে যে, সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়া অভ্যন্তরীণভাবে অভিযোগের তদন্ত করা উচিত ।
শুক্রবার জিম্বাবুয়ের এসআরসি চেয়ারপার্সন জেরাল্ড মলটসওয়া ফিফাকে আক্রমণ করে বলেন, " মনে হচ্ছে দুর্নীতি এবং যৌন হয়রানি সম্পর্কিত জিম্বাবুয়ের আইনকে ফিফা স্বীকৃতি দেয় না "।
দুর্নীতি, অযোগ্যতা এবং যৌন হয়রানির অভিযোগে জিম্বাবুয়ের কর্মকর্তারা নভেম্বরে জিফাকে স্থগিত করে।
কর্তৃপক্ষ জিফা কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ফিফা এবং সরকারের কাছ থেকে তহবিল সরিয়ে নেওয়া এবং নারী খেলোয়াড় ও কর্মচারীদের কাছ থেকে যৌন সুবিধা চাওয়ার অভিযোগ এনেছে।
জিফার স্থগিত বোর্ড সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে এবং ডিসেম্বরে ক্রীড়া ও বিনোদন কমিশনের তদন্তের আহ্বান জানিয়ে বলেছিল যে এটি ফুটবল খেলাকে বিশুদ্ধকরণের আড়ালে একটি " ছিদ্রান্বেষণ " কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
জিম্বাবুয়ে স্পোর্টস কমিশনের মলটসওয়া বলেছেন যে, ফিফার স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড ভেঙে দেয়া হবে এবং এসআরসি এসোসিয়েশনের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
স্থগিত থাকাকালীন কেনিয়া এবং জিম্বাবুয়ে ফিফা থেকে কোনো অর্থায়ন পাবে না এবং তাদের ফুটবল দলগুলোকে ফিফা বা কনফেডারেশন অফ আফ্রিকান ফুটবল দ্বারা আয়োজিত কোনো ম্যাচে খেলার অনুমতি দেয়া হবে না।