রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর পর, দেশটির কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার নিজ দেশের যুদ্ধবিরোধী সহানুভূতিশীল নাগরিকদেরকে প্রতিবাদ সমাবেশে জড়ো না হতে সতর্ক করেছে।
দ্য ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি নামের গুরুতর অপরাধ তদন্তকারী সরকারী সংস্থাটি, রাশিয়ার লোকজনকে “বিদেশের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি” সম্পর্কিত অননুমোদিত প্রতিবাদে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে, আইনী পরিণতির সম্মুখীন হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে।
সংস্থাটি জানায় যে, পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য সামাজিক মাধ্যমে জানানো আহ্বানের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে তারা।
তারা বলে, “এ ধরণের কর্মকান্ডের জন্য আদালতে বিচারের মত নেতিবাচক আইনী পরিণতি সম্পর্কে সকলের ধারণা থাকা উচিৎ, যেটি ফৌজদারি অপরাধের দায় পর্যন্ত বহন করতে পারে।”
রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায় যে তারা “শৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ” গ্রহণ করবে।
রাশিয়ায় বিক্ষোভের বিরুদ্ধে কঠোর আইন রয়েছে এবং সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশগুলো প্রায়ই গণগ্রেফতারের মাধ্যমে বন্ধ করানো হয়।
রাশিয়ার কিছু কিছু নাগরিক ইউক্রেন আক্রমণের বিরুদ্ধে মানুষজনকে রাস্তায় নামার জন্য সামাজিক মাধ্যমে আহ্বান জানান।
স্বাধীন অধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা, ওভিডি-ইনফো জানায় যে যুদ্ধবিরোধী প্রতিবাদ আয়োজনের কারণে রাশিয়াজুড়ে অন্তত ২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার কারাবন্দী বিরোধী নেতা, অ্যালেক্সেই নাভালনি তার বিচার চলাকালীন বলেন যে, তিনি আক্রমণটির বিপক্ষে। তাকে কারাগারের ভেতরেই বিচার করা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যম দোজদ এর প্রকাশিত একটি ভিডিওতে নাভালনিকে বলতে শোনা যায়, “আমি এই যুদ্ধের বিপক্ষে।”