পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, ইমরান খান মঙ্গলবার জানান, দুটি পার্শ্ববর্তী দেশের মতপার্থক্য মোচনে তিনি তাঁর প্রতিপক্ষ ভারতের প্রধানমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এক টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিতে আগ্রহী।
পরমাণু ক্ষমতাধর দুটি দেশ ৭৫ বছর আগে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে পরস্পর বিরোধী মনোভাব পোষণ করে আসছে, ৩টি লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছে এবং উত্তরাঞ্চলীয় মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীর অঞ্চলের বিরোধ নিয়ে তাদের সম্পর্কে সাম্প্রতিক সময়ে তিক্ততা বেড়েছে , উভয়েই অঞ্চলটি নিজেদের বলে দাবি করছেন।
রাশিয়া টু ডে'র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে খান বলেন, " আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিতে পারলে খুশি হবো"। তিনি আরো বলেন উপমহাদেশের কোটি কোটি লোকের জন্য কল্যাণকর হবে যদি বিতর্কের মাধ্যমে আমরা ভেদাভেদের সমাধান দিতে পারি।
রয়টার্স বার্তা সংস্থা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ জানালে তাৎক্ষণিকভাবে তারা এর জবাব দেন নি।
প্রধানমন্ত্রী খান বলেন “ভারত বৈরী দেশে পরিণত হওয়ায় তাদের সঙ্গে আমাদের ব্যবসার পরিমাণ সীমিত হয়েছে”। তিনি সকল দেশের সঙ্গে তার সরকারের বানিজ্যিক সম্পর্কের প্রতি জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রী খান বলেন, আঞ্চলিকভাবে পাকিস্তানের ব্যবসার বিকল্প ইতিমধ্যেই সীমিত। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রতিবেশী দেশ ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে এবং পশ্চিমে আফগানিস্তানের বহু দশকের যুদ্ধের কারণে আমাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী দেশ, চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক মজবুত রয়েছে, যারা বেল্ট ও রোড ইনিশিয়াটিভের আওতায় অবকাঠামো ও অন্যান্য প্রকল্প বাবদ কোটি কোটি ডলার দিতে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
মস্কো সফরের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী খানের এই সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। দু দশকে প্রথম একজন পাকিস্তানী নেতা হিসাবে তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো সফর করছেন।
ইউক্রেনের বর্তমান সঙ্কটের আগেই অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্পর্কিত তাদের দুদিনের বৈঠক পূর্বেই নির্ধারিত ছিল। ইউক্রেন প্রসঙ্গে খান বলেন, "এটি আমাদের উদ্বেগের বিষয় নয়। রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে, যে সম্পর্ককে সত্যিকার অর্থে আমরা জোরদার করতে চাই"।
[রয়টার্স]